গাজায় যুদ্ধ থামাতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ২০ দফা প্রস্তাব নিয়ে আলোচনায় বসেছে হামাস। কিন্তু এর মধ্যেই ইসরায়েলি সেনাদের হামলায় সোমবার কমপক্ষে ৩৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। খবর দিয়েছে আল জাজিরা।
হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের পর সংবাদ সম্মেলনে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, তিনি প্রস্তাবে সম্মত। তবে সেই মুহূর্তে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর আক্রমণ চলছিল। দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসে একটি তাঁবুতে আশ্রয় নেওয়া একই পরিবারের তিন সদস্য বোমা হামলায় নিহত হন।
ট্রাম্পের প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কায়ার স্টারমারসহ কয়েকজন ইউরোপীয় ও উপসাগরীয় নেতা। জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোহান ওয়াদেফুলও বলেছেন, তাদের দেশ পরিকল্পনাটির প্রতি “জোরালো সমর্থন” জানাতে প্রস্তুত।
ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ জানিয়েছেন, পরিকল্পনার জন্য আন্তর্জাতিকভাবে ব্যাপক সমর্থন রয়েছে। তবে প্রস্তাবিত আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বাহিনী গঠন না হওয়া পর্যন্ত ইসরায়েল ফিলিস্তিন ভূখণ্ড থেকে সম্পূর্ণ সেনা প্রত্যাহার করবে না।
এদিকে যুক্তরাজ্যের লেবার পার্টির সাবেক নেতা জেরেমি করবিন ট্রাম্পের পরিকল্পনায় টনি ব্লেয়ারের সম্পৃক্ততা নিয়ে সমালোচনা করেছেন। তার অভিযোগ, ব্লেয়ারের “ইরাক আক্রমণের বিপর্যয়কর সিদ্ধান্ত” হাজার হাজার মানুষের প্রাণ কেড়েছিল, তাই তার সম্পৃক্ততা উদ্বেগজনক।
ইইউ সামরিক নৌ মিশন অ্যাসপাইডস জানিয়েছে, এডেন উপসাগরে হামলার পর একটি ডাচ পতাকাবাহী পণ্যবাহী জাহাজে আগুন ধরে যায় এবং সেটি ডুবে যায়।
দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস এবং সিয়েনা রিসার্চ ইনস্টিটিউট পরিচালিত এক জরিপে দেখা গেছে, গাজার বিরুদ্ধে ইসরায়েলের যুদ্ধকে যুক্তরাষ্ট্রে ক্রমেই কম মানুষ সমর্থন করছে।
৫১% উত্তরদাতা বলেছেন, ইসরায়েলকে অতিরিক্ত অর্থ ও সামরিক সহায়তা পাঠানোর বিরোধিতা করেন।
প্রায় ৩৫% একেবারেই তীব্র বিরোধিতা করেছেন।
মাত্র ১৯% সমর্থন জানিয়েছেন।
প্রশ্ন করা হলে ৪০% উত্তরদাতা বলেছেন, ইসরায়েল ইচ্ছাকৃতভাবে সাধারণ নাগরিকদের হত্যা করছে। আরও ৬২% মনে করেন, ইসরায়েল বেসামরিক প্রাণহানি ঠেকাতে যথেষ্ট সতর্কতা নিচ্ছে না।
সমালোচনার মধ্যেও ট্রাম্প প্রশাসন ইসরায়েলকে অস্ত্র সহায়তা অব্যাহত রেখেছে। বিতর্কিত জিএইচএফ-এও মিলিয়ন ডলার সহায়তা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যেখান থেকে সামরিক সাহায্য বিতরণের সময় শত শত ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের তথ্য অনুযায়ী, ট্রাম্প প্রশাসন সম্প্রতি কংগ্রেসের কাছে ৬ বিলিয়ন ডলারের অ্যাপাচি আক্রমণ হেলিকপ্টার ও ১.৯ বিলিয়ন ডলারের ৩,২৫০ পদাতিক আক্রমণকারী যানবাহন বিক্রির অনুমোদন চেয়েছে।


