গাজা যুদ্ধের সমাপ্তি টানতে আবারও মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকায় ফিরেছে কাতার। মঙ্গলবার দোহা ঘোষণা দিয়েছে, তারা হামাসের সঙ্গে আলোচনায় অংশ নিতে প্রস্তুত। এর আগে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু কাতারের ওপর হামলার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুল রহমান আল থানি মঙ্গলবার জানান, গাজায় যুদ্ধ বন্ধে তাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
সোমবার হোয়াইট হাউস থেকে জানানো হয়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ত্রিপক্ষীয় ফোনালাপে নেতানিয়াহু কাতারের প্রধানমন্ত্রীকে আশ্বস্ত করেন। তিনি ৯ সেপ্টেম্বরের হামলায় কাতারের এক নিরাপত্তা কর্মকর্তার মৃত্যু এবং সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘনের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেন। একইসঙ্গে প্রতিশ্রুতি দেন, ভবিষ্যতে আর এমন ঘটনা ঘটবে না।
কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও নিশ্চিত করেছে, নেতানিয়াহু আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চেয়েছেন। তাই শেখ মোহাম্মদ যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত কাঠামোর মধ্য দিয়ে গাজায় যুদ্ধের অবসান ঘটাতে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার ওপর জোর দিয়েছেন।
২০১২ সাল থেকে হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোকে আতিথ্য দিয়ে আসছে কাতার। গত ২৩ মাস ধরে চলা গাজা যুদ্ধের সময়ও দেশটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও মিশরের সঙ্গে মিলে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে পরোক্ষ আলোচনায় মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা রেখেছে।
মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মিত্র কাতার। দেশটিতে একটি মার্কিন বিমানঘাঁটিও রয়েছে, যা কাতারের ভূমিকাকে আরও কৌশলগত গুরুত্ব দেয়।


