যুক্তরাষ্ট্রে ছয় বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো ফেডারেল সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে বন্ধ হয়ে গেছে। কারণ সিনেট তহবিল সংক্রান্ত বিল পাস করতে ব্যর্থ হয়েছে, ফলে ক্যাপিটল ভবনে কেউ জানে না পরবর্তীতে কী হবে।

রিপাবলিকানরা দাবি করছেন, ডেমোক্র্যাটরা কেবল বর্তমান তহবিল আরও সাত সপ্তাহের জন্য বাড়াতে সম্মত হোক, কিন্তু ডেমোক্র্যাটরা তা বড় ছাড় ছাড়া মানতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছেন।

প্রতিটি শাটডাউন আলাদা হলেও সাধারণত জীবন ও সম্পত্তি রক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম চালু থাকে, যেমন সীমান্ত নিরাপত্তা, স্বাস্থ্যসেবা এবং জরুরি পরিষেবা। তবে অন্যান্য সরকারি কাজ যেমন অভিবাসন শুনানি, ছোট ব্যবসার ঋণ, সরকারি প্রকল্প বা বেতন প্রদানের কাজ ব্যাহত হয়।

ডেমোক্র্যাটিক নেতারা হাকিম জেফ্রিস ও চাক শুমার ট্রাম্প ও রিপাবলিকানদের **দোষারোপ করছেন**। তাদের যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “কয়েক মাস ধরে জীবন কঠিন করে তোলার পর, ট্রাম্প ও রিপাবলিকানরা ফেডারেল সরকার বন্ধ করেছে। তারা আমেরিকান জনগণের স্বাস্থ্যসেবা রক্ষা করতে চায়নি।”

জেফ্রিস ও শুমার পুনর্ব্যক্ত করেছেন যে ডেমোক্র্যাটরা “দ্বিদলীয় সমাধান খুঁজতে প্রস্তুত”, তবে তাদের জন্য একজন বিশ্বাসযোগ্য অংশীদার প্রয়োজন। অন্যদিকে, হাউস স্পিকার মাইক জনসন এবং সিনেটের সংখ্যাগরিষ্ঠ নেতা জন থুন বলেছেন, সরকার পুনরায় চালু না হওয়া পর্যন্ত তারা আলোচনায় রাজি নন।

২০১৯ সালের পর এটিই প্রথম সরকারি অচলাবস্থা। সিনেটররা গভীর অনিশ্চয়তার মধ্যে ক্যাপিটল ছাড়ছেন। আগামীকাল তারা সদস্যদের সমর্থনে পুনরায় ভোট নেবার পরিকল্পনা করছেন, তবে রিপাবলিকানরা চান যথেষ্ট ডেমোক্র্যাট সম্মতি না পাওয়া পর্যন্ত শাটডাউন চলুক।

ফেডারেল সরকার বন্ধ হওয়ায় লক্ষ লক্ষ সরকারি কর্মী ছুটিতে পাঠানো হবে, তবে জরুরি কাজ চালু থাকবে। তবে অনেকে অচলাবস্থা শেষ না হওয়া পর্যন্ত বেতন পাবেন না*, অন্যদের বেতন চলবে কারণ তারা কংগ্রেস বরাদ্দের বাইরে রয়েছেন।

এই পরিস্থিতি **রাজনৈতিক অচলাবস্থা এবং অর্থনৈতিক প্রভাব নিয়ে আমেরিকান জনগণের জন্য নতুন অনিশ্চয়তা** সৃষ্টি করছে।


 

news