বাংলাদেশ-চীন কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকী উপলক্ষে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন অভিনন্দন বার্তা বিনিময় করেছেন। একই দিনে চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং এবং বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসও অভিনন্দন বার্তা পাঠান।

ঢাকায় চীনা দূতাবাসের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে শনিবার প্রকাশিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শি জিনপিং বার্তায় উল্লেখ করেছেন, চীন ও বাংলাদেশ ঐতিহ্যবাহী বন্ধুপ্রতিম প্রতিবেশী, যাদের মধ্যে দীর্ঘ ইতিহাসের বিনিময় এবং দৃঢ় বন্ধুত্ব রয়েছে। গত ৫০ বছরে আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক ভূদৃশ্যের পরিবর্তন সত্ত্বেও দুই দেশ শান্তিপূর্ণ সহাবস্থার পাঁচ নীতির ভিত্তিতে সম্পর্ক বজায় রেখেছে।

চীনা প্রেসিডেন্ট বলেন, “আমি বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে অত্যন্ত গুরুত্ব দিই। আমরা ঐতিহ্যবাহী বন্ধুত্বকে এগিয়ে নিয়ে যাব, পারস্পরিক সহযোগিতা আরও গভীর করব এবং উভয় দেশের জনগণের কল্যাণ ও বিশ্ব শান্তি ও উন্নয়নে অবদান রাখব।”

রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন তার বার্তায় বলেন, গত ৫০ বছরে বাংলাদেশ ও চীন পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও বিশ্বাসের ওপর ভিত্তি করে গভীর বন্ধুত্ব ও স্থায়ী সহযোগিতা গড়ে তুলেছে। তিনি চীনের ভূ-রাজনৈতিক ভূমিকা ও টেকসই সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন এবং আশা প্রকাশ করেছেন যে দুই দেশের যৌথ প্রচেষ্টায় দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা আরও ফলপ্রসূ হবে।

ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ৫০ বছর ধরে দুই দেশের জনগণের বন্ধুত্ব ও দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা শক্তিশালী হয়েছে এবং এ সম্পর্ক নতুন অর্জন ও কৌশলগত অংশীদারিত্ব আনতে সক্ষম হবে।

চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং বলেন, চীন-বাংলাদেশ সম্পর্কের উন্নয়নে তারা অত্যন্ত গুরুত্ব দেয় এবং ৫০তম বার্ষিকীকে বেল্ট অ্যান্ড রোডসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা ত্বরান্বিত করার সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করতে প্রস্তুত।

 

news