গাজায় প্রায় দুই বছর ধরে চলা রক্তক্ষয়ী সংঘাতের অবসানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে বড় অগ্রগতি দেখা দিয়েছে। ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস ট্রাম্পের প্রস্তাবে আংশিক সম্মতি জানিয়েছে, তবে গাজায় বিদেশি শাসনের প্রস্তাব সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছে।

আল জাজিরা জানিয়েছে, হামাস ইতোমধ্যে জানিয়েছে, তারা গাজায় আটক সব ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দিতে রাজি, কিন্তু গাজার প্রশাসন কোনো বিদেশি শক্তির হাতে যাবে—এটা তারা মানবে না।

শুক্রবার এক বিবৃতিতে হামাস জানায়, সংগঠনের শীর্ষ নেতৃত্ব, ফিলিস্তিনি বিভিন্ন অংশ এবং আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে গভীর আলোচনার পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এ অগ্রগতি এসেছে ট্রাম্পের ঘোষিত ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনার মাত্র পাঁচ দিন পর।

এর আগে, গত শুক্রবার ট্রাম্প তাঁর নিজস্ব প্ল্যাটফর্ম ‘ট্রুথ সোশ্যালে’ হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন, “হামাসকে যুক্তরাষ্ট্রের সময় অনুযায়ী রবিবার সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে প্রস্তাব মেনে নিতে হবে, নাহলে তাদের নরকযন্ত্রণা ভোগ করতে হবে।”

এই কড়া সতর্কবার্তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই হামাস জানায়, তারা যুক্তরাষ্ট্রের শান্তি প্রস্তাবের আংশিক অংশে রাজি। সংগঠনটির বিবৃতিতে বলা হয়, “আমরা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রস্তাবে উল্লিখিত বন্দিবিনিময় প্রক্রিয়া মেনে জীবিত ও মৃত সব ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দিতে প্রস্তুত।”

তবে হামাস জানিয়ে দেয়, এই মুক্তি বাস্তবায়নের আগে কিছু মাঠ পর্যায়ের শর্ত পূরণ করতে হবে। তারা মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে তাৎক্ষণিক আলোচনায় বসতে প্রস্তুত বলেও জানিয়েছে।

তবে সংগঠনটি স্পষ্ট করেছে, তারা ট্রাম্পের পুরো ২০ দফা পরিকল্পনা মেনে নেয়নি—বরং কেবল আংশিক অংশে সম্মতি দিয়েছে।

গাজার শাসনব্যবস্থা নিয়ে হামাসের অবস্থান একেবারেই পরিষ্কার। তাদের মতে, গাজার শাসনভার হস্তান্তর করা উচিত এমন এক স্বাধীন ফিলিস্তিনি প্রশাসনের হাতে, যা ফিলিস্তিনি জাতীয় ঐক্য এবং আরব ও ইসলামী বিশ্বের সমর্থনে গঠিত হবে।

এই অবস্থান স্পষ্ট করে হামাস আবারও জানিয়ে দিল, তারা বিদেশি হস্তক্ষেপ বা শাসন কখনও মেনে নেবে না

 

news