রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবার সরাসরি যুক্তরাষ্ট্রকে হুমকি দিলেন। তিনি বলেছেন, যদি ওয়াশিংটন ইউক্রেনকে রাশিয়ার গভীরে আঘাত হানার মতো টমাহক দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করে, তাহলে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার সম্পর্ক সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যাবে।
রবিবার (৫ অক্টোবর) রুশ রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের প্রতিবেদক পাভেল জারুবিন একটি ভিডিও ক্লিপ প্রকাশ করেন। সেখানে পুতিন বলেন, “এর ফলে আমাদের সম্পর্ক ধ্বংস হবে, অথবা অন্তত যেসব ইতিবাচক প্রবণতা তৈরি হচ্ছিল, সেগুলোও শেষ হয়ে যাবে।”
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে উত্তেজনা আরও বেড়ে গেছে। আগস্টে আলাস্কায় অনুষ্ঠিত এক শীর্ষ সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে বৈঠক হয়। তবে সেই বৈঠকে ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে কোনো গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হয়নি।
এরপর থেকে ইউক্রেন ইস্যুতে ট্রাম্প ও পুতিনের মধ্যে দূরত্ব আরও বাড়ে। ট্রাম্প সম্প্রতি অভিযোগ করেন, শান্তিচুক্তি না করায় তিনি পুতিনের ওপর হতাশ। এমনকি তিনি রাশিয়াকে ‘কাগুজে বাঘ’ বলেও ব্যঙ্গ করেন, ইউক্রেনকে দমন করতে ব্যর্থ হওয়ায়।
পুতিনও পাল্টা জবাব দিতে দেরি করেননি। গত সপ্তাহে তিনি প্রশ্ন তোলেন, “রাশিয়ার অগ্রযাত্রা থামাতে ব্যর্থ হওয়ায় ন্যাটো কি তাহলে কাগুজে বাঘ নয়?”
এদিকে, গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স জানান, ইউক্রেন রাশিয়ার অভ্যন্তরে আঘাত হানতে পারে এমন দূরপাল্লার টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র চেয়েছে, এবং ওয়াশিংটন সেই অনুরোধ বিবেচনা করছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহের বিষয়টি বাস্তবায়িত হলে ইউক্রেন যুদ্ধ নতুন মোড় নিতে পারে। একইসঙ্গে, রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কও ঠান্ডা যুদ্ধের সময়কার উত্তেজনার পর্যায়ে ফিরে যেতে পারে।


