ইসরায়েলের দখল ও উগ্রপন্থার বিরুদ্ধে এবার সরব হলো বিশ্বের এক নম্বর ধনী দেশ লুক্সেমবার্গ। দেশটি আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইউরোপের সেনজেনভুক্ত এই দেশটি জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের আসন্ন অধিবেশনে ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যের সঙ্গে যৌথভাবে ঘোষণা দেবে বলে নিশ্চিত করেছে তাদের সরকার।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম দ্য জেরুসালেম পোস্ট এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, লুক্সেমবার্গের প্রধানমন্ত্রী লুক ফ্রিডেন এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেভিয়ার বেত্তেল বিষয়টি দেশটির একটি সংসদীয় কমিশনকে জানিয়েছেন। তারা স্পষ্টভাবে বলেছেন, “আমরা ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার পরিকল্পনা করছি।”
চলতি মাসের শেষ দিকে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে যখন যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, বেলজিয়ামসহ আরও কয়েকটি ইউরোপীয় দেশ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবে, তখন লুক্সেমবার্গও সেই তালিকায় আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দেবে।
এ সিদ্ধান্তকে ইউরোপে একটি বড় কূটনৈতিক পরিবর্তন হিসেবে দেখা হচ্ছে, বিশেষ করে এমন সময়ে যখন ইসরায়েল গাজায় হামলা চালিয়ে ব্যাপক মানবিক বিপর্যয় ঘটিয়েছে।
এর আগে ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন দার লিয়েন ইসরায়েলের উগ্র ডানপন্থী মন্ত্রীদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রস্তাব দেন। পাশাপাশি ইসরায়েলের সঙ্গে ইইউ সহযোগিতা চুক্তির অংশবিশেষ বাতিলের কথাও জানান তিনি।
ইউরোপীয় পার্লামেন্টে এক জোরালো ভাষণে উরসুলা বলেন, “গাজায় যা ঘটছে, তা গোটা বিশ্বের বিবেককে নাড়িয়ে দিয়েছে।”
কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, সাম্প্রতিক সময়ে ইসরায়েলি নেতাদের উগ্র নীতি ও আগ্রাসী অবস্থান ইউরোপীয় কমিশনের বহু পুরনো লক্ষ্য—দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধান—প্রায় ধ্বংস করে দিয়েছে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, লুক্সেমবার্গের এই পদক্ষেপ মধ্যপ্রাচ্যের কূটনৈতিক ভারসাম্যে নতুন এক অধ্যায়ের সূচনা করবে। একইসঙ্গে এটি ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্যে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ক্রমবর্ধমান ক্ষোভ ও হতাশার প্রতিফলন।


