নরওয়ের নোবেল কমিটি উদ্বিগ্ন, কারণ তারা মনে করছেন যদি মার্কিন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে এবার শান্তি পুরস্কার না দেওয়া হয়, তা ওয়াশিংটনের সঙ্গে নরওয়ের কূটনৈতিক সম্পর্ককে আরও টানাপড়েনে ফেলতে পারে। যদিও নোবেল কমিটি আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন, তবু তাদের সিদ্ধান্ত কখনো কখনো নরওয়ে সরকারের ওপর কূটনৈতিক চাপ সৃষ্টি করতে পারে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ইতোমধ্যে নরওয়ের সার্বভৌম তহবিল গাজা যুদ্ধের প্রেক্ষিতে ইসরায়েলি কিছু প্রতিষ্ঠান ও মার্কিন কোম্পানি ক্যাটারপিলার থেকে বিনিয়োগ তুলে নেওয়ায় দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। নরওয়ের এই পদক্ষেপের জেরে যুক্তরাষ্ট্র অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছিল, যা অসলোকে আরও অস্বস্তিকর অবস্থায় ফেলেছে।

নোবেল কমিটির কাছে এটি কেবল একটি পুরস্কার প্রদানের বিষয় নয়, বরং একটি আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক পরিস্থিতির প্রতিফলনও বটে। এমন পরিস্থিতিতে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে পুরস্কার না দেওয়ার সিদ্ধান্ত কূটনৈতিকভাবে বিব্রতকর হতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা মন্তব্য করেছেন।

উল্লেখ্য, নোবেল শান্তি পুরস্কার প্রথমবার ১৯০১ সালে দেওয়া হয়। বিজয়ীরা পান একটি স্বর্ণপদক, সনদপত্র এবং ১১ মিলিয়ন সুইডিশ ক্রোনা (প্রায় ১১.৯ লাখ মার্কিন ডলার) অর্থমূল্য। পাশাপাশি তারা আন্তর্জাতিক মর্যাদা ও স্বীকৃতিও অর্জন করেন।

ডোনাল্ড ট্রাম্পের জন্য এই পুরস্কার কেবল নোবেল জয় নয়; এটি তার পররাষ্ট্রনীতি এবং ‘বিশ্ব পুনর্গঠনকারী আলোচক’ হিসেবে ভাবমূর্তির স্বীকৃতি হিসেবেও গুরুত্বপূর্ণ। কে বা কারা শান্তি পুরস্কার পাচ্ছেন, তা নরওয়ের নোবেল কমিটি আগামী শুক্রবার স্থানীয় সময় দুপুর ১২টায় ঘোষণা করবে।

 

news