এ বছরের নোবেল শান্তি পুরস্কার ঘোষণা হবে আসছে শুক্রবার নরওয়ের অসলোতে। বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩টায় বিজয়ীর নাম জানাবে নোবেল কমিটি। তবে এর আগেই সবচেয়ে আলোচিত প্রশ্ন—“ডোনাল্ড ট্রাম্প কি শান্তি নোবেল পাচ্ছেন?”

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নাম ঘিরে জল্পনা-কল্পনা এখন তুঙ্গে। যদিও বিশেষজ্ঞদের বড় অংশ মনে করছেন, ট্রাম্প কোনোভাবেই এই পুরস্কার পাওয়ার যোগ্য নন।

ট্রাম্প নিজেই দাবি করেছেন, তিনি অন্তত আটটি আন্তর্জাতিক সংঘাত মীমাংসায় ভূমিকা রেখেছেন, এমনকি ভারত ও পাকিস্তানকে পারমাণবিক যুদ্ধের দ্বারপ্রান্ত থেকে ফিরিয়ে এনেছেন। কিন্তু নোবেল বিশেষজ্ঞরা তার দাবিকে “অতিরঞ্জিত” বলে উল্লেখ করেছেন।

সুইডিশ শান্তি গবেষক পিটার ওয়ালেনস্টিন বলেন, “গাজা সংকট ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক বিতর্ক এখনো তাজা। তাই ট্রাম্পকে শান্তির প্রতীক হিসেবে দেখা এখনই সম্ভব নয়।”

একই মত দিয়েছেন অসলোর পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের প্রধান নিনা গ্রেগার। তার মতে,

“আন্তর্জাতিক সংস্থা থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার, বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু, এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ—এসবই ট্রাম্পের ‘শান্তির বার্তা’র বিপরীতে যায়।”

এই বছর নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য ৩৩৮ জন ব্যক্তি ও সংস্থা মনোনীত হয়েছেন। যদিও এই তালিকা প্রকাশ করা হয় না, তবে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে আলোচনায় উঠে এসেছে কয়েকটি নাম—

সুদানের স্বেচ্ছাসেবী নেটওয়ার্ক ‘ইমার্জেন্সি রেসপন্স রুমস’,

প্রয়াত রুশ নেতা আলেক্সেই নাভালনির স্ত্রী ইউলিয়া নাভালনায়া,

এবং নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থা অফিস ফর ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউশনস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস।

নরওয়েজিয়ান বিশেষজ্ঞ হালভার্ড লাইরা মনে করেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নোবেল কমিটি মানবাধিকার, গণতন্ত্র, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও নারী অধিকার—এই চারটি বিষয়ের ওপর বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে।

তার ভাষায়,

“কমিটি এখন অবিতর্কিত প্রার্থীদের অগ্রাধিকার দিচ্ছে। তাই শান্তি, মানবতা ও বিশ্ব ঐক্যের প্রতীক কোনো প্রার্থীই এবার বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।”

এ বছর সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকায় রয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস-ও।

বিশ্বজুড়ে এখন দৃষ্টি অসলোতে—কে হচ্ছেন ২০২৫ সালের নোবেল শান্তির প্রতীক?

 

news