অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে যুদ্ধবিরতির নতুন অধ্যায় শুরু হলেও জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্টোনিও গুতেরেস বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) উভয় পক্ষ—ইসরায়েল ও হামাস—কে আহ্বান জানিয়েছেন, যেন তারা গাজা শান্তিচুক্তির প্রথম ধাপের সব শর্ত পূর্ণভাবে মেনে চলে। খবর জানিয়েছে সামা নিউজ।

গুতেরেস বলেন, “সব জিম্মিকে মর্যাদার সঙ্গে মুক্তি দিতে হবে, স্থায়ী যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করতে হবে এবং এই যুদ্ধের চূড়ান্ত ও সম্পূর্ণ সমাপ্তি আনতে হবে। শান্তি কোনো কাগুজে চুক্তিতে সীমাবদ্ধ থাকলে চলবে না। বরং এটি মানুষের জীবনে নিরাপত্তা ও স্বস্তির নিশ্চয়তা আনতে হবে।”

বহুপাক্ষিক মধ্যস্থতায় বৃহস্পতিবার গাজা শান্তিচুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। এতে যুক্তরাষ্ট্র, মিশর, কাতার ও সৌদি আরব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

চুক্তি অনুযায়ী:

ইসরায়েল ধাপে ধাপে গাজা থেকে সেনা সরিয়ে নেবে।

৭২ ঘণ্টার মধ্যে ২০ জন জীবিত ইসরায়েলি জিম্মির বিনিময়ে প্রায় ১,৯৫০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হবে। এর মধ্যে ২৫০ জন যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত।

রাফাহ সীমান্ত দুই দিকেই খুলে দেয়া হবে।

আহত ও রোগীদের মিশরে চিকিৎসার জন্য নেওয়ার অনুমতি মিলবে।

প্রতিদিন অন্তত ৪০০ ট্রাক ত্রাণ গাজায় প্রবেশ করবে।

দক্ষিণ গাজা থেকে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরাও উত্তরাঞ্চলে ফিরে যেতে পারবেন।

চুক্তি সইয়ের পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, “গাজা এখন অনেক বেশি নিরাপদ হয়ে উঠছে। এই অঞ্চল পুনর্গঠনের জন্য পার্শ্ববর্তী দেশগুলো আগ্রহী এবং পর্যাপ্ত সম্পদ রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রও এই প্রচেষ্টায় অংশ নেবে, যাতে সেখানে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়।”

 

news