মার্কিন বিদেশ দফতরের জনানো ‘বিশ্বস্ত সূত্রের’ খবরের পর গাজায় নতুন করে হামলার ছকের অভিযোগে উত্তেজনা তৈরি হলে তা মুহূর্তে অস্বীকার করেছে প্যালেস্টাইনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। তারা স্পষ্ট করে বলেছেন—আড়ালে কোনো হামলার পরিকল্পনা নেই এবং গাজায় প্যালেস্টাইনিদের উপর কোনো আক্রমণ চায় না।
কয়েক দিন আগে মার্কিন বিদেশ দফতর এক বিবৃতিতে বলেছিল, তাঁদের গোয়েন্দারা এমন তথ্য পেয়েছেন যে হামাস গোপনে নতুন হামলার জন্য পরিকল্পনা করছে। বিবৃতিতে সতর্ক করা হয়েছিল—যদি এমন কোনো পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হয়, তা চলমান যুদ্ধবিরতি সরাসরি ভঙ্গ করবে এবং সাম্প্রতিক সময়ে অর্জিত শান্তির অগ্রগতি নষ্ট হয়ে যাবে। আমেরিকার কণ্ঠে ছিলও হুঁশিয়ারি—যদি হামাস শর্ত লঙ্ঘন করে, তবে গাজার জনগণের নিরাপত্তা রক্ষার স্বার্থে কড়া পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ প্রসঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, “চুক্তিতে যা নেই, যদি হামাস প্রয়োগ করে হত্যা-হামলা চালায়, তাহলে আমাদের কাছে তাদের শক্তভাবে মোকাবিলা করার বিকল্প ছাড়া আর কিছু থাকবে না।” তবে তিনি সরাসরি সূচক দেননি যে আমেরিকা কি ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বা কার মাধ্যমে করবে।
আরও লক্ষ্যণীয় বিষয়—ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় ইজরায়েল ও হামাসের মধ্যে আপাতত যুদ্ধবিরতি বজায় রয়েছে এবং শর্ত মেনে বন্দি বিনিময়ও হয়েছে। এসব পরিস্থিতির মাঝেই আমেরিকার সেই ‘বিশ্বস্ত সূত্র’-এর দাবি সামনে আসে; কিন্তু হামাস তা প্রত্যাখ্যান করে বলেছে তারা যুদ্ধবিরতি ভঙ্গের কোনো পরিকল্পনায় জড়িত নয়।
হামাসের এই স্পষ্ট প্রত্যাখ্যানের পর পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত দেখালেও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উদ্বেগ কাটেনি—কারণ যেকোনো ভুল বোঝাবুঝি বা তৎপরতা সহজেই সংঘাতে ফেরাতে পারে। ফলে এখন কূটনৈতিক প্রবল চাপ আর নজরদারি জোরদার রয়েছে—বিশেষভাবে যেসব দেশ এই যুদ্ধবিরতির জামিনদার বা মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করছে তাদের ওপর।
সংক্ষেপে বলা যায়, মার্কিন দাবির পর হামাসের সরাসরি অস্বীকার যুদ্ধবিরতি রক্ষা ও গাজায় পুনরায় অশান্তি এড়াতে নতুন চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করেছে। ভবিষ্যৎ কালে কিভাবে অনলাইন-অফলাইন কূটনীতি ও পর্যবেক্ষণ কাজ করে—তার ওপরই নির্ভর করবে গাজায় শান্তি টিকে থাকার উৎসাহ।
