প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন বিশ্বের প্রায় সব দেশের ওপরই শুল্কারোপ করেছেন, ঠিক তখনই এশিয়া সফরে এসে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার তিনটি দেশকে শুল্কমুক্ত পণ্য রপ্তানির বিশাল সুযোগ দিলেন তিনি।
দ্য ন্যাশন-এর খবর অনুযায়ী, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া এবং কম্বোডিয়ার কিছু পণ্য আমদানি করার ওপর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে শুল্ক ছাড়ের ঘোষণা দিয়েছে অ্যামেরিকা।
কুয়ালালামপুরে অনুষ্ঠিত আসিয়ান সামিটে নতুন বাণিজ্য চুক্তির অধীনে এই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তটি আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ করা হয়।
তিন দেশের ওপর থেকে উঠে গেল ট্রাম্পের চাপানো শুল্ক
এই তিনটি দেশের ওপর এর আগে ১৯ শতাংশ প্রত্যাবর্তী শুল্ক আরোপ করা হয়েছিল। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সম্প্রতি আরোপ করা এই শুল্ক বাতিলের অনুমোদন দিয়েছেন।
ডেটিক ফাইন্যান্সের প্রতিবেদন অনুসারে, এই অনুমোদনের ফলে থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া ও কম্বোডিয়ার বিভিন্ন পণ্য এখন অ্যামেরিকায় শুল্কমুক্তভাবে প্রবেশ করতে পারবে।
ওয়াশিংটনের এই বাণিজ্যিক সুবিধাটিকে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। এর মাধ্যমে এই অঞ্চলের সঙ্গে অর্থনৈতিক সহযোগিতা আরও দৃঢ় হবে এবং বাণিজ্যের সম্পর্ক বিস্তৃত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
থাইল্যান্ডের সাথে চুক্তি ও ২০ বিলিয়ন ডলারের ব্যবসা
থাইল্যান্ড এবং অ্যামেরিকা একটি বিশেষ ফ্রেমওয়ার্ক চুক্তিতে পৌঁছেছে, যার মূল উদ্দেশ্য দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক ও বিনিয়োগ বাড়ানো।
চুক্তি অনুযায়ী, থাইল্যান্ড অ্যামেরিকার কাছ থেকে কৃষি পণ্য, জ্বালানি সরবরাহ এবং বিমান কিনবে, যার মোট মূল্যমান হবে ২০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি।
এর প্রতিদানে, ব্যাংকক প্রায় ৯৯ শতাংশ অ্যামেরিকান পণ্যের ওপর থেকে শুল্ক তুলে নেবে। যদিও অ্যামেরিকা বেশিরভাগ পণ্যের ওপর ১৯ শতাংশ প্রত্যাবর্তী শুল্ক বহাল রেখেছে, তবে নির্দিষ্ট কিছু থাই পণ্যের ওপর থেকে তারা শুল্ক প্রত্যাহার করে নিয়েছে।
তবে কোন কোন থাই পণ্য এই শুল্কমুক্ত সুবিধার আওতায় পড়েছে, তা এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়নি।
মালয়েশিয়ার ৩ গুরুত্বপূর্ণ পণ্য পেল ছাড়
অন্যদিকে, মালয়েশিয়া তাদের তিনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পণ্য খাতের জন্য শুল্কছাড় সুবিধা নিশ্চিত করেছে।
মালয়েশিয়ার আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রী টেংকু জাফরুল আজিজ জানিয়েছেন, এই শুল্কমুক্তি প্রযোজ্য হবে—অ্যারোস্পেস যন্ত্রপাতি, ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্য এবং কিছু মূল কমোডিটিজ, যেমন পাম অয়েল, কোকো ও রাবার।
এদিকে, মালয়েশিয়ার প্রতিবেশী দেশ ইন্দোনেশিয়াও একই ধরনের শুল্কমুক্ত সুবিধার জন্য অ্যামেরিকার সঙ্গে আলোচনা করছে। দেশটির অর্থনৈতিক বিষয়ক মন্ত্রী এয়ারলাঙ্গা হারতার্থো আশা করছেন, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই চুক্তি সম্পন্ন হতে পারে।
