বিমান চলাচলের জগতে এক নতুন ইতিহাস লিখলো নাসা। তারা পরীক্ষা করলো এক্স-৫৯ কুইয়েস্ট নামের একটি সুপারসনিক বিমান, যা শব্দের চেয়েও দ্রুত উড়তে পারে, কিন্তু তৈরি করে খুবই কম শব্দ। ক্যালিফোর্নিয়ার একটি মরুভূমির সফলভাবে এই পরীক্ষামূলক উড্ডয়ন সম্পন্ন হয়েছে।

নাসার পাইলটটি প্রায় এক ঘণ্টা ধরে আকাশে ওড়ান এই সুপারসনিক বিমানটি। এরপর এটি নিরাপদেই নেমে আসে এডওয়ার্ডস এয়ার ফোর্স বেসে। পুরো উড্ডয়নকালে একটি চেজ প্লেন এটি অনুসরণ করে, যাতে এর প্রতিটি মুহূর্তের তথ্য সংগ্রহ করা যায়।

কী এমন বিশেষত্ব এই বিমানের?
সুপারসনিক বিমান সাধারণত এত তীব্র শব্দ সৃষ্টি করে যে, জমিতে থাকা মানুষের জন্য সেটি অসহনীয় হয়ে ওঠে। কিন্তু নাসার এই এক্স-৫৯ বিমানটি এতই চমৎকারভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যে, এটি যখন শব্দের গতি অতিক্রম করবে, তখন মাটিতে শোনা যাবে মাত্র একটি গাড়ির দরজা জোরে বন্ধ করার মতো শব্দ! এই অসাধ্য কাজটি সম্ভব হয়েছে বিমানটির অনন্য 'নাক' এবং সামগ্রিক গঠনের জন্য।

লকহিড মার্টিনের তৈরি এই বিমানটি আসলে কতটা শক্তিশালী?
এই পরীক্ষার সময় বিমানটির গতি ছিল ঘণ্টায় ২৩০ মাইল। কিন্তু এটির আসল ক্ষমতা তারও অনেক ওপরে। নির্মাতা প্রতিষ্ঠান লকহিড মার্টিনের তথ্য অনুযায়ী, এই বিমানটি ৫৫ হাজার ফুট উচ্চতায় ঘণ্টায় ৯২৫ মাইল (মach 1.4) গতিতে উড়তে সক্ষম। এ গতি সাধারণ যাত্রীবাহী বিমানের গতির প্রায় দ্বিগুণ!

কেন বানানো হয়েছে এই বিমান?
২০১৮ সাল থেকে নাসা লকহিড মার্টিনকে এই বিমানটি বানানোর জন্য ৫১৮ মিলিয়ন ডলার দিয়েছে। মূল লক্ষ্য হলো, ভবিষ্যতে বাণিজ্যিক বিমান চলাচলে সুপারসনিক গতি নিয়ে আসা। আগে কনকর্�ড বিমানের কারণে সৃষ্ট ভয়ানক শব্দের কারণে স্থলজায়গার উপর দিয়ে সুপারসনিক飞行 নিষিদ্ধ ছিল। এই বিমানটি সফল হলে, সেই বাধা কাটানো সম্ভব হবে এবং নিউ ইয়র্ক থেকে লস অ্যাঞ্জেলেস পৌঁছানো সময় অর্ধেকেরও বেশি কমানো যাবে।

 

news