মৃত্যুদণ্ড কার্যকর নিয়ে আসিয়ান দেশগুলোর গ্রুপের সভাপতির দায়িত্বে থাকা কম্বোডিয়া  থেকে গভীর নিন্দা জানানো হয়েছে। বলা হয়েছে, আসিয়ান মন্ত্রিদের বৈঠককে সামনে রেখে এই মৃত্যুদণ্ড কার্যকর তিরস্কারযোগ্য ও নিন্দনীয়। আল জাজিরা 

মিয়ানমারের সামরিক সরকার সোমবার এই মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের খবর জানান দিয়েছে। তাদের বিচার করা হয়েছে গোপনে। মানবাধিকার গ্রুপগুলো বলেছে, এই বিচারের কোনো বিশ্বাসযোগ্যতা নেই। ১৯৮৯ সালের পর এটাই হলো দেশটিতে প্রথম মৃত্যুদণ্ড কার্যকর। 

২৫ জুলাই আসিয়ান গ্রুপ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ঘটনাটি খুবই দু:খজনক। বিষয়টি বিবেচনার জন্য আসিয়ানের পক্ষ থেকে জান্তা সরকারকে অনুরোধ করা হয়েছিল। কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন সেন ব্যক্তিগতভাবে তাদের ক্ষমা করার জন্য আবেদন করেছিলেন। জান্তা সরকার সেদিকে কোনো কর্ণপাত করেনি। মিয়ানমারের আসিয়ান গ্রুপের সদস্য ১৯৯৭ সাল থেকে। 

বিবিসি জানিয়েছে, গণতন্ত্রপন্থী চারজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের পর মিয়ানমারের উপর চাপ প্রয়োগের জন্য চীনকে অনুরোধ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেছেন, যে কোনো দেশের  চাইতে মিয়ানমারের উপর প্রভাব বেশি চীনের। তিনি বিশ্বের দেশগুলোর কাছে আবেদন করেছেন, এ ব্যাপারে সকলে যেন সোচ্চার হন। যুক্তরাষ্ট্রতো সোচ্চারই। 

পক্ষান্তরে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেছেন, চীন অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে না। 

মৃত্যুদণ্ড কার্যকর নিয়ে জানতে চাওয়া হলে চীনা মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান বলেন, মিয়ানমারকে অবশ্যই আইন ও সংবিধান অনুসারেই সব মতপার্থক্য দূর করতে হবে।  

নেড প্রাইস বলেছেন, স্বাভাবিক নিয়মে মিয়ানমার সামরিক জান্তার সঙ্গে আর কোনো ব্যবসা বাণিজ্য হবে না। দেশটির কাছে সামরিক সরঞ্জাম বিক্রি না করার জন্য বিশ্বের সকল দেশকে আহবান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। একই সঙ্গে জান্তা সরকারকে ঋণ প্রদানে বিরত থাকার জন্যও অনুরোধ জানানো হয়েছে বিশ্ব সম্প্রদায়কে। 

তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র জান্তা সরকারের রাজস্ব কমানোর জন্য ‘সমস্ত বিকল্প’ বিবেচনা করছে।

news