শ্রীলঙ্কার নতুন প্রেসিডেন্ট (Sri Lanka Crisis) হয়েছেন রনিল বিক্রমসিঙ্ঘে। এক মাস আগে তাঁকে দ্বীপরাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রী করেছিলেন দেশের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে। এরপর রাজাপক্ষে পদত্যাগ করার পরে দেশজুড়ে অস্থির পরিস্থিতির মধ্যে রনিল অস্থায়ী প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। এ বার তাঁকেই শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছে। কিন্তু নতুন প্রেসিডেন্ট গদিতে বসার পরেও বিক্ষোভ থামেনি। দেশজুড়ে নৈরাজ্যের (Sri Lanka Crisis) পরিস্থিতি। এমন সময়ের মধ্যেই প্রেসিডেন্টের দফতর খুলে দেওয়া হল। সরকারি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, প্রেসিডেন্ট দফতর থেকে এবার কাজ শুরু হবে।

প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী এবং প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রানিলের সরকার আগেই জানিয়েছিল, আগের মতো আম নাগরিকদের সমর্থনে (পপুলার ভোট) নয়, দেশের পার্লামেন্টের সদস্যদের ভোটেই নির্বাচিত হবেন পরবর্তী প্রেসিডেন্ট (Sri Lanka Crisis)। সেই নিয়ম মেনেই রনিল বিক্রমসিঙ্ঘকে প্রেসিডেন্ট করা হয়। দেশের অর্থনীতিকে মজবুত করার অঙ্গীকারও করেছেন তিনি। সূত্রের খবর, কলম্বোর নানা প্রান্তে এখনও বিক্ষোভ চলছে। এই বিক্ষোভ-আন্দোলনের প্রায় ১০৭ দিন পরে প্রেসিডেন্টের দফতর খুলতে চলেছে। তাই কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা।

গত কয়েক মাস ধরেই আর্থিক ভাবে বিপর্যস্ত শ্রীলঙ্কায় গণবিক্ষোভ (Sri Lanka Crisis) চলছে। বিক্ষোভের জেরে আগেই প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন মাহিন্দা রাজাপক্ষে। তাঁর স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন রনিল বিক্রমসিঙ্ঘে। কিন্তু তার পরও শ্রীলঙ্কার সঙ্কটময় পরিস্থিতির বদল হয়নি। প্রধানমন্ত্রী ও প্রেসিডেন্টের ইস্তফার দাবি জানিয়েছেন বিরোধী নেতা সাজিত প্রেমদাসা। শুক্রবার থেকে দ্বীপরাষ্ট্রে বিক্ষোভ নতুন চেহারা নিয়েছে। রাজধানী কলম্বোয় প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষের প্রাসাদে ঢুকে পড়েন বিক্ষোভকারীরা। এর আগেই প্রেসিডেন্টকে নিরাপদ স্থানে সরানো হয়। কার্ফু উপেক্ষা করেই দলে দলে বিক্ষোভকারী প্রেসিডেন্টের বাসভবনে ঢোকার চেষ্টা করে। কাঁদানে গ্যাসের গোলা ছুড়ে, শূন্যে গুলি ছুড়েও তাঁদের রুখতে ব্যর্থ হয় পুলিশ। এখন প্রেসিডেন্টের প্রাসাদ ঘিরে সেনা প্রহরা রয়েছে। ফের বিক্ষোভের আশঙ্কায় রাজধানী জুড়ে কড়া নিরাপত্তা জারি করা হয়েছে।

news