নিজেকে 'ভাবা পরমাণু গবেষণা কেন্দ্রের বিজ্ঞানী' বলে চালাতেন তিনি। কিন্তু আসলে তিনি ছিলেন একজন ভুয়া বিজ্ঞানী, যিনি গত ৩০ বছর ধরে দেশের গোপন পারমাণবিক তথ্য বিদেশিদের কাছে পাচার করে কোটি কোটি টাকা কামিয়েছেন! মুম্বই পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়া এই ব্যক্তির নাম আখতার হুসেইনি।
ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা এই ৬০ বছর বয়সী ব্যক্তিকে গ্রেফতারের পর তদন্তে এখন চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে এসেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৫ সাল থেকেই বিদেশ থেকে আখতারের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে বড় অঙ্কের টাকা লেনদেন শুরু হয়। শুরুতে লক্ষ টাকার লেনদেন থাকলেও ২০০০ সালের পর থেকে সেই অঙ্ক পৌঁছে যায় কোটিতে।
তদন্তে আখতার এবং তার ভাইয়ের একাধিক ব্যাংক অ্যাকাউন্টের সন্ধান পেয়েছে পুলিশ, যেখানে বিপুল সংখ্যক সন্দেহজনক লেনদেন চোখে পড়েছে। তিনি ঠিক কত টাকার বিনিময়ে এই গোপন তথ্য পাচার করতেন, তা জানতে এখন অ্যাকাউন্টের সমস্ত রেকর্ড ঝালাই করছে তদন্তকারী দল।
গত সপ্তাহে মুম্বই পুলিশ আখতার হুসেইনিকে গ্রেফতার করে। এই ভুয়া বিজ্ঞানী দেশের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়াতেন এবং নিজেকে পরমাণু বিজ্ঞানী হিসেবেই পরিচয় দিতেন।
গ্রেফতারের সময় আখতারের কাছ থেকে পুলিশ ১০টিরও বেশি গোপন মানচিত্র এবং পারমাণবিক অস্ত্র সম্পর্কিত বিভিন্ন সংবেদনশীল তথ্য জব্দ করেছে। এছাড়াও উদ্ধার করা হয়েছে বেশ কয়েকটি জাল পাসপোর্ট, আধার কার্ড ও প্যান কার্ড। মজার ব্যাপার হলো, ভাবা পরমাণু কেন্দ্রের একটি জাল আইডি কার্ডও ছিল তার দখলে!
আরও চমকপ্রদ তথ্য হলো, বিভিন্ন জাল পরিচয়পত্রে তিনি বিভিন্ন নাম ব্যবহার করতেন। কোনো পরিচয়পত্রে他的名字 আলি রাজা হুসেন, আবার কোথাও তিনি আলেকজান্ডার পামার নামে পরিচিত!
আখতারের ভাই আদিলকেও দিল্লি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই মামলার তদন্ত যত এগোচ্ছে, ততই নতুন নতুন চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে পুলিশের হাতে।
