আমেরিকা যদি পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা চালায়, তাহলে রাশিয়াও পিছিয়ে থাকবে না! এই মেসেজ দিলেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার জবাবে রাশিয়া এখন নিজেদের প্রস্তুতি জোরদান করছে।
পুতিন সরাসরি তার মন্ত্রিসভা এবং নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন, দ্রুত পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য কংক্রিট প্রস্তাব তৈরি করতে। এই নিয়ে দুই পরাশক্তির মধ্যে উত্তেজনা আবারও চরমে উঠেছে।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী আন্দ্রেই বেলোসভ এক বৈঠকে স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্ত রাশিয়ার জন্য একটা ‘সরাসরি সামরিক হুমকি’ তৈরি করেছে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, রাশিয়ার পারমাণবিক সক্ষমতা এমন স্তরে থাকতে হবে, যাতে শত্রুর unacceptable ক্ষতি নিশ্চিত করা যায়।
তিনি আরও জানান, প্রয়োজনে আর্কটিক অঞ্চলের নভায়া জেমলিয়ার তাদের পরীক্ষাকেন্দ্র খুব দ্রুতই সক্রিয় করে তোলা যাবে।
এদিকে, রাশিয়ার জেনারেল স্টাফ প্রধান জেনারেল ভ্যালেরি গেরাসিমভ একটা বড় হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, এখনই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিলে, ভবিষ্যতে আমেরিকার কোনো পদক্ষেপের সময়মতো জবাব দিতে রাশিয়া ব্যর্থ হতে পারে।
১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ার পর থেকে রাশিয়া কখনোই পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা চালায়নি। কিন্তু গত কয়েক সপ্তাহ ধরে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কে টানাপোড়েন নতুন করে শুরু হয়েছে।
এর পেছনে আছে যুক্তরাষ্ট্রের সিদ্ধান্ত। গত ৩০ অক্টোবর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প পেন্টাগনকে ১৯৯২ সালের পর প্রথমবারের মতো পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা চালানোর নির্দেশ দেন। এর আগেই, তিনি রাশিয়ার ‘বুরেভেস্তনিক’ নামের পারমাণবিক শক্তিচালিত ক্রুজ মিসাইল পরীক্ষার তীব্র সমালোচনা করেছিলেন। এই মিসাইল পারমাণবিক ওয়ারহেড বহন করতে সক্ষম।
বিশ্লেষকদের ধারণা, তিন দশকেরও বেশি সময় পর পারমাণবিক পরীক্ষা নিয়ে দুই পরাশক্তির এই নতুন তৎপরতা স্পষ্ট করে দিচ্ছে যে, বৈশ্বিক অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা এখন কতটা নাজুক অবস্থায় পৌঁছেছে।
