যুক্তরাষ্ট্র চলতি বছর প্রায় ৮০ হাজার অ-অভিবাসী ভিসা বাতিল করেছে। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বুধবার (৫ নভেম্বর) জানিয়েছেন, ভিসা বাতিল হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানো, মারামারি ও চুরিসহ বিভিন্ন অপরাধে যুক্তরা রয়েছেন। এই খবর দিয়েছে ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা জানান, প্রায় ১৬ হাজার ভিসা বাতিল হয়েছে মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানোর কারণে, ১২ হাজার হামলার অভিযোগে এবং ৮ হাজার চুরির মামলায়। চলতি বছরের ভিসা বাতিলের প্রায় অর্ধেক এই তিন ধরনের ঘটনার কারণে হয়েছে।
ওয়াশিংটন এক্সামিনারের প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি বছর জানুয়ারিতে ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর থেকে কঠোর অভিবাসন নীতি কার্যকর হয়েছে। ফলে বৈধ ভিসাধারী বহু অভিবাসীকেও যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিতাড়ন করা হয়েছে। নতুন ভিসা প্রদানের ক্ষেত্রেও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম যাচাই এবং নিরাপত্তা স্ক্রিনিং বৃদ্ধি করা হয়েছে।
আগস্টে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল, মেয়াদ শেষ হওয়া, আইন লঙ্ঘন এবং সন্ত্রাসবাদে সহায়তার অভিযোগে অন্তত ৬ হাজার শিক্ষার্থী ভিসা বাতিল হয়েছে। গত মাসে আরও জানা যায়, সামাজিক মাধ্যমে রক্ষণশীল সমাজকর্মী চার্লি কার্ক হত্যাকাণ্ড নিয়ে মন্তব্যের কারণে অন্তত ৬ জনের ভিসা বাতিল হয়েছে।
চলতি বছরের মে মাসে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেছেন, তিনি নিজেই যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতির পরিপন্থী হাজার হাজার ব্যক্তির ভিসা বাতিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অন্য দেশে অবস্থানরত মার্কিন কূটনীতিকদের সতর্ক থাকতে বলেছেন। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বৈরী মনোভাবধারণকারীদের ক্ষেত্রে বিশেষ বিবেচনা করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ফিলিস্তিনিদের প্রতি সহানুভূতি বা গাজার যুদ্ধে ইসরায়েলের কর্মকাণ্ড সমালোচনার কারণে শিক্ষার্থী ভিসা ও গ্রিন কার্ডধারীদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। কর্মকর্তাদের মতে, এই ধরনের কর্মকাণ্ড হামাসপন্থি অবস্থানকে উৎসাহিত করছে এবং মার্কিন পররাষ্ট্রনীতির জন্য হুমকি।
