বিদেশি কর্মীকে স্থায়ী নাগরিকত্ব দেওয়ার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে কানাডা সরকার। ২০২৬ ও ২০২৭ সালে সর্বোচ্চ ৩৩ হাজার অস্থায়ী ওয়ার্ক পারমিটধারী কর্মীকে নাগরিকত্ব দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে দেশটি।

বিষয়টা ২০২৫ সালের ফেডারেল বাজে টে উল্লেখ করা হয়েছে, যা প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির নেতৃত্বাধীন লিবারেল সংখ্যালঘু সরকার গত ৪ নভেম্বর পার্লামেন্টে উপস্থাপন করেছে। এই নতুন উদ্যোগের মাধ্যমে কানাডার অর্থনীতি ও শ্রমবাজারের দীর্ঘমেয়াদি ঘাটতি পূরণের পাশাপাশি প্রবাসী কর্মীদের জন্য নতুন সুযোগ তৈরি হবে বলে আশা করছে সরকার।

অস্থায়ী বাসিন্দাদের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে নতুন লক্ষ্য—
২০২৬ সালে অস্থায়ী বাসিন্দা গ্রহণের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ লাখ ৮৫ হাজার—যা ২০২৫ সালের ৬ লাখ ৭৩ হাজার ৬৫০ জনের তুলনায় প্রায় ৪৩ শতাংশ কম। এর মধ্যে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় অর্ধেকে নামিয়ে ১ লাখ ৫৫ হাজার করা হয়েছে। একইভাবে অস্থায়ী বিদেশি শ্রমিকদের লক্ষ্যও ৩৭ শতাংশ কমিয়ে ২ লাখ ৩০ হাজার নির্ধারণ করা হয়েছে।

২০২৬ সালের জন্য কানাডার মোট স্থায়ী বাসিন্দা গ্রহণের লক্ষ্য ৩ লাখ ৮০ হাজারই থাকছে, যার মধ্যে ৬৪ শতাংশ আসবে অর্থনৈতিক ইমিগ্রেশন বিভাগে। অর্থনৈতিক শ্রেণিতে ২ লাখ ৩৯ হাজার ৮০০ জন, পারিবারিক পুনর্মিলনে ৮৪ হাজার এবং শরণার্থী ও মানবিক ক্যাটাগরিতে ৫৬ হাজার ২০০ জনকে স্থায়ী করা হবে।

গ্রামীণ অঞ্চল ও বিশেষ খাতে অগ্রাধিকার
সরকার বলেছে, এই পরিকল্পনায় বিশেষভাবে অগ্রাধিকার পাবে কানাডার গ্রামীণ ও প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলো, যেগুলো শ্রমঘাটতি এবং শুল্কবিধি পরিবর্তনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

টিএফডব্লিউ ও আইএসপি-এ পরিবর্তন আসছে
কানাডার নতুন প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি গত সেপ্টেম্বরে বলেন, ‘
-কে এমনভাবে পুনর্গঠন করতে হবে, যাতে তা নির্দিষ্ট সেক্টর ও অঞ্চলের প্রকৃত শ্রমচাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়।’
২০২৫ সালের বাজেটে আলাদা করে সংখ্যা না দিলেও ধারণা করা হচ্ছে, ইন্টারন্যাশনাল মোবিলিটি প্রোগ্রাম (আইএমটি)-এর আওতায়ই বেশি ওয়ার্ক পারমিট ইস্যু হবে।

দেশটির সরকার বলছে, অস্থায়ী বাসিন্দাদের লক্ষ্য কমানো মানে তাদের প্রবেশ হঠাৎ বন্ধ করা নয়। ২০২৫ সালেই লক্ষ্য অনুযায়ী ভর্তি অনেক পিছিয়ে রয়েছে—জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত কেবল ৪২ শতাংশ অস্থায়ী বিদেশি কর্মী ও ২৯ শতাংশ আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী কানাডায় এসেছেন।
বিশ্লেষকদের মতে, এ পরিকল্পনা কানাডায় দীর্ঘমেয়াদি ইমিগ্রেশন ভারসাম্য পুনঃস্থাপন এবং অভ্যন্তরীণ শ্রমবাজারে স্থিতিশীলতা আনার লক্ষ্যে একটা বড় পদক্ষেপ হতে পারে।

 

news