চীনের সামরিক শক্তি প্রদর্শনের নতুন অধ্যায় শুরু হলো। প্রেসিডেন্ট সি চিনপিংয়ের উপস্থিতিতে দেশটির তৃতীয় ও সবচেয়ে উন্নত বিমানবাহী রণতরী ‘ফুজিয়ান’ আনুষ্ঠানিকভাবে নৌবাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সিনহুয়া জানায়, এই ঐতিহাসিক মুহূর্তের মধ্য দিয়েই রণতরীটি এখন থেকে সক্রিয়ভাবে কাজ শুরু করেছে।
দক্ষিণ চীন সাগরে আঞ্চলিক উত্তেজনা এবং তাইওয়ান নিয়ে ক্রমবর্ধমান বিরোধের প্রেক্ষাপটে এই রণতরীর কমিশনিংকে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে বিশ্লেষকরা। ফুজিয়ান যুক্ত হওয়ায় চীনের নৌবাহিনী আরও শক্তিশালী ও আধুনিক হয়ে উঠবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ফুজিয়ানের সংযোজন চীনের সামরিক আধুনিকীকরণ কর্মসূচির একটি বড় মাইলফলক। এটি শুধু চীনের প্রযুক্তিগত সক্ষমতার প্রমাণই নয়, বরং প্রেসিডেন্ট সি চিনপিংয়ের নেতৃত্বে বেইজিংয়ের কৌশলগত ক্ষমতা বৃদ্ধি করার অংশ।
চীনা গণমাধ্যম জানিয়েছে, ফুজিয়ান অত্যাধুনিক ইলেকট্রোম্যাগনেটিক ক্যাটাপাল্ট প্রযুক্তি সম্বলিত প্রথম চীনা রণতরী, যা যুদ্ধবিমানগুলোকে দ্রুত এবং অধিক কার্যকরভাবে উড্ডয়ন করতে সাহায্য করবে। এটি চীনের আগের দুই বিমানবাহী রণতরী— লিয়াওনিং ও শানডং—এর তুলনায় অনেক বেশি উন্নত এবং আধুনিক।
চীন বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বড় নৌবাহিনী হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছে। ফুজিয়ানের অন্তর্ভুক্তি সেই অবস্থানকে আরও সুদৃঢ় করল বলে মনে করছেন প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকরা।
রাষ্ট্রীয় প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফুজিয়ানের কার্যক্রম শুরু চীনের সামরিক কৌশলে একটি “ঐতিহাসিক অগ্রগতি” এবং দেশের আত্মনির্ভর প্রযুক্তির বড় অর্জন হিসেবে দেখা হচ্ছে।
growth, Fujian aircraft carrier news
