মাদক চোরাচালান দমনে প্রয়োজনে মেক্সিকোতে সামরিক হামলার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। হোয়াইট হাউসে এক বৈঠক শেষে ট্রাম্প সরাসরি জানিয়ে দেন, সুযোগ পেলে তিনি কলম্বিয়ায় থাকা কোকেনের ফ্যাক্টরিও ধ্বংস করবেন। এমনকি ভেনেজুয়েলায় সামরিক পদক্ষেপ নেওয়ার ইঙ্গিতও দিয়েছেন তিনি।
ওভাল অফিসে ফিফা বিশ্বকাপ টাস্কফোর্সের ব্রিফিং শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন ট্রাম্প। ২০২৬ সালে বিশ্বকাপ ঘিরে নিরাপত্তা নিয়ে কথা ওঠার কথা থাকলেও, ওভাল অফিসে ট্রাম্পের বক্তব্যে প্রধান হয়ে ওঠে মাদকবিরোধী যুদ্ধের আগ্রাসী নীতি।
মেক্সিকো থেকে শুরু করে ভেনেজুয়েলা পর্যন্ত, আমেরিকার দক্ষিণ সীমান্তে তিনি যে কঠোর ও আগ্রাসী অবস্থান নিচ্ছেন, তা স্পষ্টভাবে বুঝিয়ে দিয়েছেন ট্রাম্প।
মেক্সিকো সীমান্ত দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে মাদকের প্রবাহ রোধ করতে প্রয়োজনে হামলা চালানোর সম্ভাবনা উড়িয়ে দেননি ট্রাম্প। তিনি অভিযোগ করেন, যুক্তরাষ্ট্রে যে বিপুল পরিমাণ মাদক ঢুকছে, তার একটি বড় অংশই আসে মেক্সিকো সীমান্ত হয়ে। তাই প্রয়োজনে মেক্সিকোর ভেতরে সামরিক হামলাও চালাতে পারেন বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
"আমাদের জলপথ দিয়ে প্রায় কোনো মাদকই ঢোকে না, প্রায় ৮৫ শতাংশ কমে গেছে। এখন মাদক ঠেকাতে হলে আমি কি মেক্সিকোতে হামলা চালাবো? হ্যাঁ, প্রয়োজনে তাই করব। মাদক বন্ধ করতে যা দরকার, সবই করতে প্রস্তুত আমি।"
এই সময়ে ট্রাম্প কলম্বিয়া প্রসঙ্গেও সরাসরি কথা বলেন। তিনি বলেন, সুযোগ পেলে তিনি কলম্বিয়ার কোকেন উৎপাদন কারখানাগুলো ধ্বংস করতে চান। যদিও তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো সামরিক অভিযান ঘোষণা করেননি, তবুও তার সংকেত বেশ স্পষ্ট।
"আমরা ভালোভাবেই জানি মাদক, ফেন্টানিল, কোকেন, কীভাবে এখানে আসে। কলম্বিয়ায় কোকেন তৈরির কারখানা আছে। সেই কারখানাগুলো ধ্বংস করতে পারলে আমি গর্বিতই হতাম।"
এছাড়াও, ট্রাম্প দাবি করেছেন যে ভেনেজুয়েলা মার্কিন সীমান্তে তাদের কারাগার খালি করে মানুষ পাঠিয়েছে, যা বাইডেন প্রশাসনের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য এক বিপর্যয় ডেকে এনেছে।
