তাইওয়ানের আকাশে চক্কর কাটছে চিনের ২১টি যুদ্ধবিমান, পেলোসি সফরে বড় সংঘাতের আশঙ্কা

 মার্কিন হাউজ স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির (Nancy Pelosi) তাইওয়ান সফরকে ঘিরে চিন-তাইওয়ান সীমান্তে (Taiwan) হাওয়া গরম। পেলোসিকে আগেই হুঙ্কার দিয়েছে চিন (China)। তাঁর সফরের আগে থেকেই তাইওয়ানের আশপাশে চিনের যুদ্ধ ট্যাঙ্ক সরবরাহ করা হচ্ছিল, যা দেখে শিহরিত হয়েছিলেন গোটা বিশ্বের মানুষ। ফের কি যুদ্ধের দামামা বাজতে চলেছে? মঙ্গলবার রাত থেকেই এই আশঙ্কায় ঘুম উড়েছে শান্তিপ্রিয় মানুষের।

এই উত্তপ্ত বাতাবরণের মধ্যেই তাইওয়ানে পা রেখেছেন মার্কিন হাউজ স্পিকার পেলোসি। তাঁর আগমনের সময় তাইওয়ান বিমানবন্দরের সমস্ত আলো নিভে গিয়েছিল। টর্চের আলোয় অতিথিকে স্বাগত জানিয়েছে তাইপেই। সূত্রের খবর পেলোসি তাইওয়ান আসতেই এই ‘স্বশাসিত’ দ্বীপরাষ্ট্রটির আকাশসীমায় চক্কর কাটতে শুরু করেছে অন্তত ২১টি চিনা যুদ্ধবিমান।

মার্কিন প্রশাসনিক ব্যবস্থায় পেলোসির অবস্থান জো বাইডেন, কমলা হ্যারিসদের ঠিক পরেই। তিনি যদিও জানিয়েছেন, এটি তাঁর ব্যক্তিগত সফর। কিন্তু বলা বাহুল্য, তাঁর তাইওয়ানে আসা মোটেই ভাল চোখে দেখেনি বেজিং। তাইওয়ানকে তারা বরাবরই নিজেদের অঙ্গ বলে দাবি করেছে। যদিও তাইওয়ানের স্বাধীনতাকামী মানুষজন চিনের আধিপত্য স্বীকার করেন না। পেলোসির তাইওয়ান সফরকে ঘিরে তাই আরও একবার আন্দোলিত হয়েছে বিশ্ব কূটনীতি। সিঁদুরে মেঘ দেখছেন কূটনীতিবিদরা।

মনে করা হচ্ছে, তাইওয়ানের আকাশে যেভাবে সারেসারে চিনা যুদ্ধবিমান প্রবেশ করেছে, যেভাবে ছোট্ট এই দ্বীপরাষ্ট্র ঘিরে ফেলেছে চিনের যুদ্ধ ট্যাঙ্ক, তাতে যে কোনও মুহূর্তে বড় ঘটনা ঘটতে পারে। ফের বেজে উঠতে পারে যুদ্ধের দামামা।

তাইওয়ান নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই ওয়াশিংটন-বেজিং ঠান্ডা লড়াই জারি। শত হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও মার্কিন স্পিকারের তাইওয়ান সফরে চিনের লালফৌজ ‘হাই অ্যালার্ট’-এ রয়েছে। এখন দেখার পেলোসি সফরের জল কত দূর গড়ায়।খবর দ্য ওয়ালের /এনবিএস/২০২২/একে

news