ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু আবারও কঠোর ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন—ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের কোনো সম্ভাবনাই নেই। তার দাবি, একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের “মূল উদ্দেশ্যই হবে একমাত্র ইহুদি রাষ্ট্র ইসরায়েলকে ধ্বংস করা।”

জেরুজালেমে জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মের্জের সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে নেতানিয়াহু এই মন্তব্য করেন। বিষয়টি প্রথম জানায় আরটি।

সংবাদ সম্মেলনে মের্জ পুনরায় বলেন, জার্মানি একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের পক্ষে। কিন্তু নেতানিয়াহু সরাসরি আপত্তি জানিয়ে বলেন, এমন একটি রাষ্ট্র “ইসরায়েলের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে আমাদের ধ্বংস করতেই তৈরি হবে।”

হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজা উপত্যকার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “গাজায় তাদের ইতিমধ্যেই রাষ্ট্রের মতোই সুযোগ ছিল। কিন্তু তারা সেটি ব্যবহার করেছে ইসরায়েলকে ধ্বংসের চেষ্টা করতে।”

নেতানিয়াহুর মতে, আরব দেশগুলোর সঙ্গে “বৃহত্তর আঞ্চলিক শান্তি” প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনা রয়েছে, এবং ফিলিস্তিনিদের সঙ্গেও “কার্যকর শান্তি” সম্ভব—কিন্তু তার জন্য কোনো স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের প্রয়োজন নেই।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বহুদিন ধরেই জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানকে প্রত্যাখ্যান করে আসছেন। এই সমাধান অনুযায়ী, ১৯৬৭ সালের ছয় দিনের যুদ্ধের আগের সীমারেখায় পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে একটি ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের কথা বলা হয়েছে।

১৯৪৭ সালে জাতিসংঘের বিভাজন পরিকল্পনায় পৃথক ইহুদি ও আরব রাষ্ট্রের প্রস্তাব থাকলেও পরবর্তী যুদ্ধগুলোতে ইসরায়েল ফিলিস্তিনিদের জন্য নির্ধারিত বেশিরভাগ ভূমি দখল করে নেয়। আন্তর্জাতিক আইনে পশ্চিম তীর এখনো অবৈধ দখল হিসেবে বিবেচিত হলেও, নেতানিয়াহু সেখানেও নতুন বসতি স্থাপনের ইঙ্গিত দিয়েছেন—যা ভবিষ্যতে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনাকে প্রায় শূন্যে নামিয়ে দিতে পারে।

 

news