সিরিয়ায় মার্কিন হামলার প্রেক্ষাপটে পশ্চিমা দেশগুলোর বিরুদ্ধে তীব্র ও বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ রেজা আরেফ। তিনি স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন, ইসলাম কিংবা ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানে সহিংসতা বা চরমপন্থার কোনো জায়গা নেই।
শুক্রবার ইসলামের নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জন্মের ১৫০০তম বার্ষিকী উপলক্ষে গঠিত সদর দপ্তরের এক সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে রেজা আরেফ বলেন, শত্রুপক্ষ পরিকল্পিতভাবে মুসলমানদের গায়ে চরমপন্থা ও সহিংসতার তকমা সেঁটে দিতে চায়। তাদের প্রচারণা থাকে—মুসলমানদের একটি অংশ পশ্চিমা চিন্তাধারায় প্রভাবিত হয়ে ইসলামের নামে সহিংসতায় জড়াচ্ছে। কিন্তু বাস্তবতা হলো, এসব গোষ্ঠী শেষ পর্যন্ত পশ্চিমাদের ওপরই নির্ভরশীল—এটা খুব দ্রুতই পরিষ্কার হয়ে যায়।
রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম পার্সটুডের বরাতে জানা যায়, ইরানের প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ইসলামোফোবিয়া পশ্চিমাদের একটি গভীরভাবে পরিকল্পিত কৌশল। মানবাধিকার ও স্বাধীনতার স্লোগান ব্যবহার করে তারা এই কৌশলকে প্রতিদ্বন্দ্বীদের দমন ও চাপ প্রয়োগের হাতিয়ার বানিয়েছে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, সহিংসতার সঙ্গে ইরানের কোনো সম্পর্ক নেই এবং সহিংসতায় জড়িত কোনো ব্যক্তি বা রাষ্ট্রকে তেহরান সমর্থন করে না।
রেজা আরেফ আরও বলেন, যদি শরণার্থী ও গাজার নির্যাতিত মানুষের সঙ্গে পশ্চিমাদের আচরণ তুলনা করা হয়, তাহলে তথাকথিত সভ্য দেশগুলোর আসল চেহারা প্রকাশ পায়। তিনি প্রশ্ন তোলেন—এই দেশগুলো কীভাবে যুদ্ধ চালায় এবং আফ্রিকা মহাদেশে তারা কী ধরনের অপরাধ সংঘটিত করেছে।
এর মধ্যেই ইসরাইলবিরোধী অবস্থান আরও কড়া করে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন এক বিবৃতিতে বলেন, ইহুদিবাদী শাসনব্যবস্থা মূলত পশ্চিমা শক্তির হাতে ব্যবহৃত একটি হাতিয়ার। তাঁর মতে, যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনে গড়ে ওঠা ইসরাইল আসলে একটি সন্ত্রাসী শাসনব্যবস্থা। একই সঙ্গে তিনি ইসরাইলকে স্বীকৃতি না দেওয়ার অবস্থান আবারও স্পষ্ট করেন।
কিম জং-উন আরও বলেন, উত্তর কোরিয়া সবসময় ফিলিস্তিনি জনগণের পাশে রয়েছে এবং এই অবস্থান থেকে তারা কখনোই সরে আসবে না।
