ভারতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনীকে আরও শক্তিশালী করতে বড় অস্ত্র চুক্তি প্রায় চূড়ান্ত। সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী এবং বিশেষ বাহিনীর জন্য একসঙ্গে ৮৫০টি কামিকাজি ড্রোন কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। এই বিশাল অর্ডারের জন্য বাজেট ধরা হয়েছে প্রায় ২ হাজার কোটি রুপি।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইকোনমিক টাইমস প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, সেনাবাহিনীর ড্রোন কেনার এই গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাবটি এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে। চলতি ডিসেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহেই প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকা ডিফেন্স অ্যাকুইজিশন কাউন্সিল (ডিএসি) এর একটি বৈঠক হতে পারে। ওই বৈঠকেই এই ড্রোন ক্রয় চুক্তির চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এই অনুমোদন পাওয়া মাত্রই আনুষ্ঠানিকভাবে কামিকাজি ড্রোন কেনার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে।

এদিকে ভারতীয় বার্তা সংস্থা এএনআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সেনাবাহিনীর এক শীর্ষ কর্মকর্তা জানান, গত মে মাসে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে চালানো 'অপারেশন সিঁদুর'-এ প্রথমবারের মতো বড় আকারে সামরিক ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছিল। ওই অভিযানে এই ড্রোনগুলো অত্যন্ত কার্যকরী প্রমাণিত হয়। সেই অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়েই ভবিষ্যতের জন্য সেনা, নৌ ও বিমান—এই তিন বাহিনীর অস্ত্রভাণ্ডারে ড্রোনের সংখ্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রতিরক্ষা কর্তৃপক্ষ।

কামিকাজি ড্রোনকে 'আত্মঘাতী ড্রোন'ও বলা হয়। এটি এমন এক ধরনের বিস্ফোরকবোঝাই ড্রোন যা সরাসরি লক্ষ্যবস্তুর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং আঘাত হানার সঙ্গেই নিজেও ধ্বংস হয়ে যায়। সহজ ভাষায়, এই ড্রোনগুলো একবার ছেড়ে দিলে সেগুলো আর ফিরে আসে না। এগুলিকে ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্রের মধ্যে একটি হাইব্রিড যুদ্ধাস্ত্র হিসেবেও বর্ণনা করা যায়।

 

news