গাজায় একটি সম্পূর্ণ নতুন শাসন ব্যবস্থা চালু হতে যাচ্ছে চলমান যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবেই। এই নতুন কাঠামোয় থাকবে একটি আন্তর্জাতিক বোর্ড এবং ফিলিস্তিনি টেকনোক্র্যাটদের একটি বিশেষ দল। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও জানিয়েছেন, এই ব্যবস্থা চালুর পরপরই গাজায় বিদেশি সেনা মোতায়েন করা হবে।
ওয়াশিংটনে গাজা পরিস্থিতি নিয়ে সর্বশেষ ব্রিফিংয়ে মার্কো রুবিও বলেন, "গাজার বর্তমান পরিস্থিতি একেবারেই টেকসই নয়। অক্টোবরে শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হলেও ইসরায়েল হামাসের লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। একইসাথে হামাসও গাজায় নিজেদের নিয়ন্ত্রণ আবারও শক্তিশালী করতে শুরু করেছে।"
রুবিও আরো বলেন, "এই কারণেই প্রথম ধাপটি দ্রুত শেষ করার জন্য আমরা জরুরি ভিত্তিতে কাজ শুরু করেছি। এর মধ্যে অন্যতম হলো 'বোর্ড অব পিস' গঠন করা। আর মাঠ পর্যায়ে কাজ করার জন্য ফিলিস্তিনি টেকনোক্র্যাটদের একটি দলও গঠন করা হবে। এরপর খুব দ্রুতই স্থিতিশীলতা রক্ষার জন্য একটি সামরিক বাহিনী পাঠানো হবে।"
তিনি জানান, ফিলিস্তিনি টেকনোক্র্যাটদের কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। এই নতুন প্রশাসনিক কাঠামোতে গাজার স্থানীয় নাগরিকরাই অংশ নেবেন, যারা কোনো রাজনৈতিক দলের নয় বরং তাদের কারিগরি দক্ষতা ও প্রশাসনিক যোগ্যতার ভিত্তিতে দায়িত্ব পাবেন। ওয়াশিংটন খুব শিগগিরই এই নতুন শাসন কাঠামো কার্যকর করতে চায়।
তবে এখনও স্পষ্ট নয়, হামাসকে কীভাবে নিরস্ত্র করা হবে। আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা বাহিনীতে সেনা পাঠাতে আগ্রহী দেশগুলোও ভয় প্রকাশ করেছে যে, হামাসের সাথে তাদের সরাসরি সংঘর্ষ শুরু হয়ে যেতে পারে। রুবিও বলেন, "হামাসকে নিরস্ত্র করার দায়িত্ব কার ওপর থাকবে বা সেটা কীভাবে করা সম্ভব, তা এখনও অস্পষ্ট। নিরাপত্তা ও শাসনব্যবস্থা পুনর্গঠনে আন্তর্জাতিক দাতাদের কাছ থেকে অর্থায়ন নিশ্চিত করাও খুবই গুরুত্বপূর্ণ।"
অন্যদিকে, ইসরায়েল হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ বারবার তুলে আসছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, অক্টোবর মাস থেকে এ পর্যন্ত গাজায় তাদের তিনজন সেনা নিহত হয়েছেন।
