পাকিস্তানের ক্ষমতাসীন দল মুসলিম লীগ-এনের এক শীর্ষ নেতা এবার সরাসরি ভারতকে কঠোর হুঁশিয়ারি দিলেন। তার বক্তব্য, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যদি ভারতের কোনো খারাপ নজর বা আক্রমণাত্মক মনোভাব দেখা দেয়, তাহলে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী ও মিসাইল সেটির জবাব দিতে পুরোপুরি প্রস্তুত। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে একটি সামরিক জোট গঠনেরও আহ্বান জানান তিনি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুসলিম লীগ-এনের এই নেতা কামরান সাঈদ উসমানী এক ভিডিও বার্তায় সরাসরি বলেন, "যদি ভারত বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বে হামলা করে, যদি কেউ খারাপ উদ্দেশ্যে বাংলাদেশের দিকে তাকানোর সাহস দেখায়—তাহলে জেনে রাখুন, পাকিস্তানের জনগণ, পাকিস্তানের সেনাবাহিনী এবং আমাদের মিসাইল কিন্তু খুব দূরে নেই।"
তিনি আরও যোগ করেন, বাংলাদেশে ভারত যদি তাদের তথাকথিত 'অখণ্ড ভারত' মতবাদ চাপিয়ে দিতে চেষ্টা করে, তাহলে পাকিস্তান কখনই তা মেনে নেবে না। উসমানী দাবি করেন, অতীতেও পাকিস্তান ভারতকে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে এবং ভবিষ্যতেও প্রয়োজনে তারা সেই একই পথে হাঁটতে পিছপা হবে না।
তার অভিযোগ, সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ বাংলাদেশকে উসকানি দিচ্ছে এবং বাংলাদেশকে একটি 'হিন্দু রাষ্ট্রে' রূপান্তরিত করার চক্রান্ত চলছে। এই প্রেক্ষাপটেই তিনি তার চাঞ্চল্যকর প্রস্তাবটি পেশ করেন।
‘সামরিক জোট গড়ার’ প্রস্তাব
কামরান সাঈদ উসমানী প্রস্তাব দেন, বাংলাদেশের উচিত হবে পাকিস্তানের সঙ্গে একটি শক্তিশালী সামরিক জোট গঠন করা। তিনি আরও বলেন, "বাংলাদেশে পাকিস্তানের সামরিক ঘাঁটি এবং পাকিস্তানে বাংলাদেশের সামরিক ঘাঁটি স্থাপন করা উচিত।"
বিশ্লেষকদের মতে, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে যদি সত্যিই কোনো রূপের সামরিক জোট বা কৌশলগাত মৈত্রী গড়ে ওঠে, তাহলে তা দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক শক্তির সামগ্রিক ভারসাম্যে বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে পারে। এই বক্তব্য এসেছে এমন এক সময়ে, যখন বাংলাদেশ তার পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে সচরাচর খুব সতর্ক ও স্বতন্ত্র অবস্থান বজায় রাখে।
