তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারার কাছে এক মর্মান্তিক বিমান দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন লিবিয়ার সেনাপ্রধান জেনারেল মুহাম্মদ আলী আহমেদ আল-হাদ্দাদ। তাঁর সঙ্গে আরও চারজন শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা এবং তিনজন বিমান ক্রু সদস্যও মারা গেছেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আঙ্কারা থেকে উড্ডয়নের পরপরই বিমানটি বিধ্বস্ত হয়।

সেনাপ্রধান আল-হাদ্দাদ ছাড়াও এই দুর্ঘটনায় নিহত অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা হলেন:

লিবিয়ার স্থলবাহিনীর প্রধান আল-ফিতুরি ঘারিবিল

সামরিক বাহিনীর উৎপাদন কর্তৃপক্ষের পরিচালক মাহমুদ আল-কাতাওয়ী

আল-হাদ্দাদের উপদেষ্টা মুহাম্মদ আল-আসাওই দিয়াব

একজন সামরিক ফটোগ্রাফার মুহাম্মদ ওমর আহমেদ মাহজুব

তুরস্কের প্রেসিডেন্টের কমিউনিকেশনস ডিরেক্টরেটের প্রধান বুরহানেত্তিন দূরান তিন ক্রু সদস্যের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন। তুরস্কের আইনমন্ত্রী ইলমাজ তুনচ জানিয়েছেন, আঙ্কারার প্রধান প্রসিকিউটর অফিস ইতিমধ্যেই এই দুর্ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

প্রাথমিক তদন্তে যা বলা হয়েছে
প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই বিমান দুর্ঘটনার পেছনে কোনো সন্ত্রাসী বা ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি। বরং প্রযুক্তিগত কোনো ত্রুটিই দুর্ঘটনার মূল কারণ বলে ধারণা করা হচ্ছে।

কেন তুরস্কে ছিলেন লিবিয়ার সেনাপ্রধান?
জেনারেল মুহাম্মদ আলী আল-হাদ্দাদ এবং তাঁর প্রতিনিধিদল দুই দেশের মধ্যকার সামরিক ও নিরাপত্তা সহযোগিতা জোরদার করা এবং আঞ্চলিক বিভিন্ন সমস্যার সমাধান খুঁজতে তুরস্ক সফরে গিয়েছিলেন। তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে একটি প্রাইভেট জেটে করে দেশে ফিরছিলেন তিনি।

আল-হাদ্দাদ পশ্চিম লিবিয়ার একজন শীর্ষ সামরিক কমান্ডার ছিলেন এবং জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় লিবিয়ার বিভক্ত সামরিক বাহিনীকে একই কমান্ডের আওতায় নিয়ে আসার (unification) প্রচেষ্টায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছিলেন। লিবিয়ার অস্থির রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা পরিস্থিতিতে তাঁর এই মৃত্যু দেশটির ভবিষ্যৎ নিয়ে নতুন অনিশ্চয়তা ও উদ্বেগ তৈরি করেছে।

 

news