কম্বোডিয়ার বান্তেয় মিঞ্চে প্রদেশের চৌক চে গ্রামে শুক্রবার সকাল থেকে থাইল্যান্ডের এফ-১৬ যুদ্ধবিমান ৪০টিরও বেশি বোমা ফেলেছে, যা পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে দিয়েছে। হামলার সঙ্গে ট্যাঙ্ক আর সাঁজোয়া যান নিয়ে থাই সেনারা গ্রামে ঢুকে পড়েছে।
কম্বোডিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের আন্ডার সেক্রেটারি ও মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট জেনারেল মালি সোচেতা জানিয়েছেন, বিমান হামলার পাশাপাশি বান্তেয় মিঞ্চে প্রদেশের পোইপেট পৌরসভার সাধারণ আবাসিক এলাকায় কামানের গোলা বর্ষণ করা হয়েছে। হামলার পরেও থাই বাহিনী প্রতিবেশী কম্বোডিয়ার ওপর আক্রমণ থামায়নি।
এর মধ্যেই সীমান্ত চৌকিতে কম্বোডিয়ান ও থাই কর্মকর্তারা তৃতীয় দিনের আলোচনায় বসেছিলেন। শনিবার উভয় দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বৈঠকের কথা থাকলেও হামলা ঘটেছে। কম্বোডিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সকাল ৬:০৮ থেকে ৭:১৫ পর্যন্ত এফ-১৬ বিমান মোতায়েন করে বোমা বর্ষণ করা হয়, যা চৌক চে গ্রামে তীব্রতার সঙ্গে আঘাত হেনেছে।
কম্বোডিয়ার বাহিনীও সা কাইও প্রদেশের সীমান্তে রাতভর গোলাবর্ষণ চালিয়েছে, যার ফলে বেশ কয়েকটা বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দুই দেশই একে অপরকে দোষারোপ করছে এবং নাগরিকদের ওপর আক্রমণ চালানোর অভিযোগ একে অপরের বিরুদ্ধে তুলেছে।
জুলাই মাসে পাঁচ দিনের প্রাণঘাতী সংঘর্ষের অবসান ঘটাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও মালয়েশিয়া মধ্যস্থতা করে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছিল। তবে সেই যুদ্ধবিরতি স্বল্পস্থায়ী ছিল।
কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেট ফেসবুকে জানিয়েছেন, তিনি মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর সঙ্গে ফোনে আলোচনা করেছেন এবং দুজনেই সীমান্তে যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করার উপায় নিয়ে কথা বলেছেন।
উল্লেখ্য, এই সংঘাতের পেছনে রয়েছে ৮০০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত এবং সেখানে অবস্থিত মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ সংগ্রহ নিয়ে আঞ্চলিক বিরোধ, যা পুনরায় উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে।
এদিকে, স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, বোমার শব্দ ও গোলাবর্ষণের ফলে আতঙ্ক ছড়িয়ে গেছে, অনেকেই বাড়ি থেকে বের হতে সাহস পাচ্ছে না। উদ্ধারকারী দল ও সেনারা ঘটনাস্থলে সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।
