চিনের সুমতি! ‘বেজিং ও নয়াদিল্লি মোটেই প্রতিদ্বন্দ্বী নয়’, ভোলবদল জিনপিং প্রশাসনের

 ভারতের আপত্তি উড়িয়ে শ্রীলঙ্কার হামবানটোটা বন্দরে নোঙর ফেলেছে চিনা (China) জাহাজ ‘ইউয়ান ওয়াং ৫’। চিনা ‘নজরদারি’ জাহাজ শ্রীলঙ্কার সমুদ্র উপকূলে নোঙর ফেলায় অসন্তুষ্ট দিল্লি (Delhi)। লাদাখ সীমান্ত নিয়ে অসন্তোষের মধ্যেই এই ঘটনায় দুই প্রতিবেশীর মধ্যে সম্পর্কের আরও অবনতি হয়েছে। এহেন পরিস্থিতিতে বেজিংয়ের মুখে শোনা গেল একদম অন্য কথা। দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের উন্নতি হওয়া দরকার বলে মন্তব্য করলেন চিনের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন।

আসলে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর ‘এশিয়া সেঞ্চুরি’ সংক্রান্ত যে মন্তব্য করেছিলেন, তারই পরিপ্রেক্ষিতে এই মন্তব্য করতে দেখা গিয়েছে বেজিংকে। কী বলেছিলেন জয়শংকর? তাঁর কথায়, ”এশিয়ান সেঞ্চুরি হওয়া কঠিন, যদি না ভারত ও চিন কাছাকাছি আসে। এবং এই মুহূর্তে এটাই বড় প্রশ্ন, ভারত-চিন সম্পর্ক কোনদিকে যাচ্ছে।” গত বৃহস্পতিবার থাইল্যান্ডের এক বিশ্ববিদ্যালয়ে একথা বলেন জয়শংকর।


উল্লেখ্য, ‘এশিয়ান সেঞ্চুরি’ শব্দবন্ধটি প্রথমবার ব্যবহার করেছিলেন চিনের রাজনৈতিক নেতা ডেং শিয়াওপিং। ১৯৮৮ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর সঙ্গে কথা বলার সময় তাঁকে এই শব্দবন্ধ ব্যবহার করতে দেখা গিয়েছিল। আসলে তখন গত শতকের শেষ পর্ব। নতুন শতকে কোন দেশ রাজত্ব করবে তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছিল। চিনের দাবি ছিল, আমেরিকা নয়, নয়া শতাব্দীতে রাজত্ব করবে এশিয়া। যাতে মুখ্য ভূমিকা নেবে ভারত ও চিন।
কিন্তু গত তিন দশকে পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। সে প্রসঙ্গেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন জয়শংকর। তাঁর মতে, দুই দেশের সম্পর্ক ক্রমেই অত্যন্ত জটিল দিকে চলেছে। লাদাখে চিনের আগ্রাসনেই পরিস্থিতি খারাপ হয়েছে বলে জানান তিনি।

তাঁর এই কথাকেই কার্যত সমর্থন করেন ওয়াং। বলেন, ”চিনের একজন নেতা বলেছিলেন যতদিন না চিন ও ভারতের উন্নতি হচ্ছে ততদিন এশিয়ান সেঞ্চুরি হওয়া সম্ভব নয়।” এরপরই তিনি মন্তব্য করেন, বেজিং ও নয়াদিল্লি পরস্পরের ‘শত্রু’ নয়। বরং তারা পরস্পরের সহযোগী। সংবাদ প্রতিদিন / এনবিএস/২০২২/একে

news