নজরে চিন-পাকিস্তান, যুদ্ধে বাজিমাত করতে ‘প্রোজেক্ট চিতা’ শুরু করছে ভারতীয় ফৌজ

 হিমালয়ের বুকে থাবা বাড়াচ্ছে চিন। মরুপ্রান্তরে সুযোগের অপেক্ষায় রয়েছে পাকিস্তান। এহেন পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনীকে আরও মজবুত করতে ‘প্রোজেক্ট চিতা’ শুরু করতে চলেছে ভারত। এই প্রকল্পের আওতায় ইজরায়েল থেকে কেনা ড্রোনগুলিকে সশস্ত্র করে তুলবে বায়ুসেনা। এই কাজের বরাত দেওয়া হবে দেশীয় অস্ত্র নির্মাণকারী সংস্থাগুলিকে।

সরকার সূত্রে খবর, ‘প্রোজেক্ট চিতা’র আওতায় ইজরায়েল থেকে আমদানি করা ‘হেরোন’ ড্রোনগুলিকে (drone) অস্ত্রবহনে সক্ষম করা হবে। এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘আত্মনির্ভর’ ভারত অভিযানে জোর দিয়ে এই কাজ করানো হবে দেশীয় সংস্থাগুলির মাধ্যমে। বলে রাখা ভাল, হেরোন ড্রোনগুলি ২৫০ কিলোগ্রাম ওজন বহনে সক্ষম। এতে রয়েছে থার্মোগ্রাফিক ক্যামেরা, রাডার সিস্টেম, চালকদলের সঙ্গে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে ড্রোনটি নিজেই কমান্ড সেন্টারে ফিরে আসতে পারে। এবার ‘প্রোজেক্ট চিতা’র আওতায় ড্রোনগুলিতে মিসাইল মোতায়েন করা হবে।


উল্লেখ্য, ২০১৮ সাল থেকেই পড়শি দেশ চিনের (China) ধাঁচে এবার গোটা একটা ‘ড্রোন ফোর্স’ গড়তে তৎপর হয়েছে ভারতীয় সেনা৷ এক্ষেত্রে ভারতীয় সেনার তিন বাহিনীর জন্য আলাদা আলাদা ফোর্স তৈরি হচ্ছে না। পরিবর্তে একটাই বিশাল ‘ড্রোন ফোর্স’ বা ‘মানববিহীন সেনা’ তৈরির লক্ষ্যে কাজ শুরু করেছে নয়াদিল্লি৷ এই বিষয়ে আগেই সবুজ সংকেতও দিয়েছিলেন খোদ প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ।

বিশ্লেষকদের মতে, আধুনিক যুদ্ধের অন্যতম হাতিয়ার হচ্ছে ড্রোন বা চলকবিহীন বিমান। আকাশ থেকে শত্রুপক্ষকে ছারখার করে দিতে সবচেয়ে কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে পারে ড্রোন বাহিনী৷ সেনাঘাঁটি থেকে রিমোর্ট কন্ট্রোলের মাধ্যমে শত্রুর ডেরায় নিক্ষেপ করা যেতে পারে ক্ষেপণাস্ত্র৷ লড়াইয়ের ময়দানে ড্রোনবাহিনী যে কতটা প্রভাব ফেলতে পারে তা ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে চলা যুদ্ধে পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। বিরাট রুশ ট্যাঙ্কবাহিনীকে কীভাবে ইউক্রেনের ড্রোন গুঁড়িয়ে দিয়েছে তা দেখে হতবাক হয়ে গিয়েছেন সমর বিশেষজ্ঞরা।সংবাদ প্রতিদিন /এনবিএস/২০২২/একে

news