ভারত সরকারের কঠোর অভিবাসন নীতির মুখে আওয়ামী লীগের পলাতক নেতাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা। শেখ হাসিনার পতনের পর ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে আশ্রয় নেওয়া লক্ষাধিক আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী এখন চরম উদ্বেগে রয়েছেন।

সূত্রমতে, পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা, অরুণাচল প্রদেশ ও মেঘালয়ে প্রায় ১ লাখ ৪৩ হাজার আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী আশ্রয় নিয়েছেন। তবে সম্প্রতি ভারত সরকার অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়ায় তাদের অবস্থা সংকটাপন্ন।

ভারতীয় কর্তৃপক্ষ অবৈধ বাংলাদেশিদের 'পুশব্যাক' প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করেছে। যদিও এখনো বেশিরভাগ আওয়ামী লীগ নেতা এ তালিকায় পড়েননি, তবে আগস্ট মাস থেকে ব্যাপক অভিযান শুরু হবে বলে জানা গেছে।

এদিকে অন্তর্বর্তী সরকার গত ১০ মে আওয়ামী লীগের সব কার্যক্রম নিষিদ্ধ করেছে। ফলে নেতাদের দেশে ফেরার পথও অনিশ্চিত। অনেক নেতা পরিবারসহ আমেরিকা ও ইউরোপে পাড়ি জমাচ্ছেন। ইতিমধ্যে প্রায় ৫০ জন উচ্চপদস্থ নেতা পশ্চিমা দেশগুলোতে চলে গেছেন।

এক পলাতক কেন্দ্রীয় নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, "জীবনের ঝুঁকি এখনো কাটেনি। ভারত ছাড়লে কোথায় যাব, তা নিয়েই চিন্তা।"

সাবেক কূটনীতিক হুমায়ুন কবির বলেন, "এ ধরনের সংকটে মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি প্রয়োজন। পুশব্যাক প্রক্রিয়ায় সাধারণ মানুষই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।"

বর্তমান পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগ নেতাদের জন্য ভারতে থাকা কিংবা দেশে ফেরা - উভয়ই এখন চ্যালেঞ্জিং হয়ে দাঁড়িয়েছে।

news