দলের সিদ্ধান্তের বাইরে জাতীয় নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে ভোটে লড়ার চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মঙ্গলবার ২৩ ডিসেম্বর রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, “দেশ নির্বাচনের দিকে এগোচ্ছে। নির্বাচিত সরকার আশা করি দেশকে কল্যাণের পথে এগিয়ে নেবে। তবে কিছু মহল নির্বাচনের কার্যক্রম ব্যাহত করতে চক্রান্ত করছে।”
তিনি অভিযোগ করেন, “বর্তমান সরকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। সরকারের প্রতি যে আস্থা জনগণ রেখেছে, সেটি তারা রাখবেন বলে বিশ্বাস করি। নির্বাচনের পরিবেশ সুষ্ঠুভাবে তৈরি করতে সরকারকে আরও সচেতন হওয়ার আহ্বান জানাই।”
সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল বিএনপির সঙ্গে আন্দোলনে থাকা জমিয়াতুল উলামায়ে ইসলামকে চারটি আসনে ছাড় দেওয়ার ঘোষণা দেন। এসব আসন হলো—নীলফামারি-১, নারায়ণগঞ্জ-৪, সিলেট-৫ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, “বিগত সময়ে জমিয়াতুল উলামায়ে ইসলাম বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে শীর্ষস্থানে ছিল। এখন নির্বাচনি আসনে সমঝোতা করা হয়েছে। দলটির প্রার্থীরা যেসব আসন থেকে নির্বাচন করবেন, সেসব আসনে বিএনপি কোনো প্রার্থী দেবে না।”
তিনি আরও জানান, বিএনপি ক্ষমতায় এলে ইমাম ও মুয়াজ্জিনদের বিশেষ ভাতা দেওয়া হবে। এছাড়া কোরআন ও সুন্নাহ বিরোধী কোনো আইন পাশ করা হবে না। কওমি মাদরাসা থেকে পাস করা শিক্ষার্থীদের ধর্মীয় শিক্ষক হিসেবে নিয়োগে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
