বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে ঢাকা আসা নেতাকর্মীদের সুবিধার জন্য বিএনপি বিশেষ ট্রেন ও অতিরিক্ত বগি রিজার্ভের আবেদন করেছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) দলটির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী রেল মন্ত্রণালয়কে এই চিঠি পাঠান। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, তারেক রহমান ২৫ ডিসেম্বর যুক্তরাজ্য থেকে ঢাকায় ফিরবেন, এবং তাকে স্বাগত জানাতে সারা দেশ থেকে বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মী ও সমর্থক ঢাকায় আগমন করবেন।
চিঠিতে বলা হয়েছে, আগমনের সুবিধার্থে ২৪ ডিসেম্বর রাতের বিভিন্ন রুটে বিশেষ ট্রেন রিজার্ভ করার অনুরোধ করা হয়েছে। সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী নির্দিষ্ট ভাড়া পরিশোধ করা হবে।
রিজার্ভের জন্য যেসব রুট উল্লেখ করা হয়েছে, সেগুলো হলো:
কক্সবাজার-ঢাকা
সিলেট-ঢাকা
জামালপুর-ময়মনসিংহ-ঢাকা
টাঙ্গাইল-ঢাকা
চাঁপাইনব্বাগঞ্জ-রাজশাহী-ঢাকা
পঞ্চগড়-নিলফামারী-পার্বতীপুর-ঢাকা
কুড়িগ্রাম-রংপুর-ঢাকা
এর আগে মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) যুক্তরাজ্যে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে তারেক রহমান ঘোষণা করেন, “আগামী ২৫ ডিসেম্বর আমি বাংলাদেশে যাচ্ছি।”
ফলে শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম জানিয়েছেন, “দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ২৫ ডিসেম্বর ঢাকার মাটিতে পৌঁছাবেন। দল তাকে আনন্দ ও উষ্ণ স্বাগত জানাচ্ছে।”
ওইদিন রাতে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে স্থায়ী কমিটির জরুরি বৈঠক হয়, যেটিতে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন তারেক রহমান। বৈঠক রাত সাড়ে ৯টায় শুরু হয়। কমিটির অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকের পরে মির্জা ফখরুল বলেন, “তারেক রহমানের আগমন শুধু স্বাগত নয়, আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি।”
তারেক রহমানের সহধর্মিণী ডা. জোবাইদা রহমান বর্তমানে ঢাকায় রয়েছেন। তিনি উন্নত চিকিৎসার জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে লন্ডন থেকে ঢাকায় আনার জন্য ৫ ডিসেম্বর ঢাকায় আসেন। বর্তমানে খালেদা জিয়া বসুন্ধরার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
তারেক রহমান ২০০৭ সালে ১/১১ সরকার পরিবর্তনের পর গ্রেপ্তার হন। ২০০৮ সালে কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যে যান এবং সেখান থেকেই দলের কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। ১/১১ সরকার এবং পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে তার বিরুদ্ধে শতাধিক মামলা হয়েছিল, যার মধ্যে ৫টি মামলায় সাজা হয়েছিল।
