জকোভিচকে হারিয়ে উইম্বলডনের নতুন রাজা আলকারাজ

রজার ফেদেরারের বিদায়ের পর সার্বিয়ান তারকা নোভাক জকোভিচকে উইম্বলডনের ঘাসের কোর্টের নতুন রাজা বলা হতো। এবার ফেদেরারকে ছুঁয়ে ফেলার সামনে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। ২০১৩ সালের পর থেকে সেন্টার কোর্টে অপরাজিত জকোভিচ, ফেভারিট হিসেবে ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিলেন কার্লোস আলকারাজের। কিন্তু তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়ে সর্বকালের শীর্ষ ২৪তম গ্র্যান্ড স্লাম জেতার রেকর্ড ছুঁতে পারলেন না জোকোভিচ।

২০১৬ সালের পর এই প্রথমবার উইম্বলডনে হারলেন টানা পঞ্চম শিরোপার খোঁজে থাকা জোকোভিচ। গত জুনে ফ্রেঞ্চ ওপেনের সেমিফাইনালে ২০ বছর বয়সী আলকারেজকে হারান সার্ব তারকা। ওই ম্যাচের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে আলকারাজ তীব্র লড়াই গড়ে তুললেন। অল ইংল্যান্ড ক্লাবে জোকোভিচের আধিপত্য থামিয়ে  বোরবারের ফাইনালে জিতলেন ১-৬, ৭-৬ (৮-৬), ৬-১, ৩-৬, ৬-৪ গেমে। 

 আলকারাজ বলেন, আমার স্বপ্ন সত্যি হলো। আমি যদি হারতামও, তবুও নিজেকে নিয়ে গর্ব করতাম। এই ধরনের টুর্নামেন্টের এমন পর্যায়ে খেলতে পারা, ২০ বছর বয়সের ছেলে হিসেবে, অনেক আগেভাগে ঘটলো। আমি সত্যিই নিজেকে নিয়ে গর্বিত।

গত বছর ইউএস ওপেন জয়ের পর দ্বিতীয় গ্র্যান্ড স্লাম হাতে নিলেন আলকারাজ। ১৯৮৫ সালে ১৭ বছর বয়সী বরিস বেকার ও ১৯৭৬ সালে বিয়র্ন বোর্গের পর তৃতীয় সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে উন্মুক্ত যুগে উইম্বলডনে চ্যাম্পিয়ন হলেন তিনি। 

উইম্বলডনে ৩৫ ম্যাচে প্রথম হারের পর কান্নায় ভেঙে পড়েন জোকোভিচ, এই ধরনের ম্যাচগুলো কখনোই হারতে চাইবে না কেউ। তবে যত আবেগ ছুঁয়ে গেছে আমাকে, তাতে আমি কৃতজ্ঞ। আমি এখানে অনেক কঠিন ম্যাচ জিতেছিলাম। সম্ভবত এমন কিছু ফাইনাল জিতেছি, যেগুলো হারতে বসেছিলাম। এটা হজম করা কঠিন, যখন খুব কাছে ছিলাম। আমি আমার চেয়ে ভালো খেলোয়াড়ের কাছে হেরে গেলাম। তাকে অভিনন্দন জানাই। আশা করি শক্তিশালী হয়ে ফিরবো।সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা 

এনবিএস/ওডে/সি

news