বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অধিনায়কত্ব একটি কঠিন চ্যালেঞ্জ, এমনটাই মনে করেন দলের সিনিয়র সহকারী কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। লিটন দাসের নেতৃত্বে দল সংযুক্ত আরব আমিরাত সফরের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে, তবে ধারাবাহিক পারফরম্যান্সের অভাব এবং মানসিক দৃঢ়তার ঘাটতি দলের জন্য বড় বাধা।
বাংলাদেশ ক্রিকেট দল আসন্ন সংযুক্ত আরব আমিরাত সফরের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে, যেখানে তারা দুটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে। তবে, পাকিস্তান সফর অনিশ্চিত হওয়ায় দলের সামনে এখন নতুন চ্যালেঞ্জ। দলের নতুন অধিনায়ক লিটন দাসের নেতৃত্বে এই সফরে সাফল্য আনা কঠিন কাজ বলে মনে করেন সিনিয়র সহকারী কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। গত রোববার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুশীলন শেষে তিনি বলেন, “বাংলাদেশ দলের অধিনায়কত্ব মানে পুরো দেশের অধিনায়কত্ব। এটি বাইরে থেকে সহজ মনে হলেও বাস্তবে অত্যন্ত কঠিন। আমাদের সবাইকে অধিনায়ককে সমর্থন ও স্বাধীনতা দিতে হবে।”
সালাউদ্দিন জানান, দলের পারফরম্যান্সে ধারাবাহিকতার অভাব অধিনায়কত্বকে আরও জটিল করে তোলে। তিনি বলেন, “আমরা সবাই একসঙ্গে পারফর্ম করি না, এটাই বড় সমস্যা। যদি আরও বেশি পারফরমার থাকত, তাহলে অধিনায়কের কাজ সহজ হতো। ধারাবাহিক পারফরম্যান্সের অভাব আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।” তিনি আরও জানান, ক্রিকেটারদের মানসিক দৃঢ়তার ঘাটতি দলের পারফরম্যান্সে বড় প্রভাব ফেলছে। তিনি বলেন, “ক্রিকেট খেলাটা মাথায়। আমরা যৌক্তিকভাবে খেলছি কি না, সেটাই বড় বিষয়। মানসিক দিকে উন্নতি করা সহজ নয়।”
দলের প্রস্তুতি নিয়ে সালাউদ্দিন জানান, এবার কিছুটা সময় পাওয়ায় ক্রিকেটারদের দক্ষতা উন্নয়নের উপর জোর দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, “টানা সিরিজের কারণে স্কিল উন্নতির জন্য সময় কম পাই। এবার কিছু ট্রেনিং সেশন রাখা হয়েছে। ফিটনেস ধরে রাখার পাশাপাশি স্কিল উন্নতির কাজ চলছে।” তিনি আরও জানান, ক্রিকেটারদের মানসিক প্রস্তুতি এবং দায়িত্ববোধ বাড়াতে নতুন পন্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। একজন ক্রিকেটারকে আরেকজনের কোচিং করানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে, যাতে তারা নিজেরা ক্রিকেট নিয়ে চিন্তা করে এবং দায়িত্বশীল হয়।
সালাউদ্দিনের মতে, এই নতুন পন্থা দলের সংস্কৃতি বদলাতে সাহায্য করবে। তিনি বলেন, “আমরা চাই ক্রিকেটাররা নিজেদের সমস্যা নিজেরাই সমাধান করুক। এরকম হলে আমরা দ্রুত এগিয়ে যেতে পারব।” লিটন দাসের নেতৃত্বে দল কীভাবে পারফর্ম করে, তা নিয়ে ক্রিকেটপ্রেমীদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ। তবে, সালাউদ্দিনের কথায় স্পষ্ট, অধিনায়কের সাফল্যের জন্য দলের সবার পারফরম্যান্স এবং সমর্থন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমিরাত সফরে দলের পারফরম্যান্সই নির্ধারণ করবে এই নতুন অধিনায়কত্বের দিকনির্দেশনা।
লিটন দাসের নেতৃত্বে বাংলাদেশ দল আমিরাত সফরে নতুন সম্ভাবনা নিয়ে এগোচ্ছে। তবে, ধারাবাহিক পারফরম্যান্স এবং মানসিক দৃঢ়তার চ্যালেঞ্জ কাটিয়ে উঠতে হবে। সালাউদ্দিনের কথায় স্পষ্ট, অধিনায়কের সাফল্য নির্ভর করছে সবার সমর্থন ও দলীয় প্রচেষ্টার উপর। আমিরাতে বাংলাদেশ কেমন পারফর্ম করে, তা দেখার জন্য অপেক্ষায় রয়েছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা।


