এশিয়া কাপে দ্বিতীয় ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে একেবারেই দাঁড়াতে পারেনি বাংলাদেশ। ইনিংসের শুরুতে টপ-অর্ডারের ভেঙে পড়া আর বোলারদের হতাশাজনক পারফরম্যান্সে লিটন দাসের দল হেরে গেছে একপাক্ষিকভাবে। ম্যাচ শেষে হতাশা লুকাতে পারেননি সাবেক প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু। তাঁর ভাষায়, “বাংলাদেশ এত বাজেভাবে হারবে, এটা কখনোই চিন্তায় আসেনি।”

ম্যাচের শুরু থেকেই যেন ব্যাট হাতে ধ্বস। টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম দুই ওভারেই রান শূন্য, আর সাথে দুই ওপেনারের বিদায়। পরের দিকে তাওহীদ হৃদয়, লিটন দাস, শেখ মেহেদীরাও আউট হয়ে ফিরে যান। ৫ উইকেটে মাত্র ৫৩ রান তুলতে পারায় ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে টাইগাররা।

শামীম হোসেন পাটোয়ারি ও জাকের আলী অনিকের ৮৬ রানের জুটিতে কিছুটা সম্মান রক্ষা হলেও বড় রান হয়নি। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ থামে ১৩৯ রানে। তবে নিশাঙ্কা ও কামিল মিশারার দারুণ ব্যাটিংয়ে শ্রীলঙ্কা সহজেই তুলে নেয় জয়, সেটাও ৩২ বল হাতে রেখে।

মাস দুয়েক আগেই শ্রীলঙ্কায় গিয়ে সিরিজ জেতা বাংলাদেশ এই ম্যাচে একেবারেই লড়াই করতে পারেনি। ব্যাটিংয়ের মতো বোলিংয়েও ছিল বড় হতাশা। শর্ট লেংথে অতিরিক্ত বল করার কারণে সহজ রান তুলেছেন লঙ্কান ওপেনাররা।

নান্নু বলেন, “অবশ্যই সবাই হতাশ এই ধরনের পারফরম্যান্সে। ব্যাটিং-বোলিং সব দিকেই আমরা ব্যর্থ হয়েছি। আমার মনে হয়, পাওয়ার প্লেতেই ম্যাচ আমাদের হাত থেকে বেরিয়ে গেছে। শুরুতেই উইকেট হারানো আর বোলিংয়ে শুরুর চাপ ধরে রাখতে না পারা আমাদের ম্যাচ থেকে ছিটকে দিয়েছে।”

তিনি আরও যোগ করেন, “এখন আফগানিস্তানের বিপক্ষে ভালো রান রেটে জেতার চ্যালেঞ্জ নিতে হবে। না হলে সুপার ফোরে যাওয়া কঠিন হয়ে যাবে।”

এশিয়া কাপে একের পর এক বাজে পারফরম্যান্সে টাইগার শিবিরে শঙ্কা বেড়েই চলেছে। নান্নুর কথায়ও স্পষ্ট, বাংলাদেশকে ঘুরে দাঁড়াতে এখন চাই ব্যাটিং-বোলিং—সব বিভাগেরই জ্বলে ওঠা।

 

news