এশিয়া কাপ মানেই ভারত-পাকিস্তানের মহারণ। রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) মুখোমুখি হচ্ছে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুই দল। ভারত গতবারের চ্যাম্পিয়ন হলেও পাকিস্তানও পিছিয়ে নেই। ত্রিদেশীয় সিরিজ জিতে বাড়তি আত্মবিশ্বাসে আছে সলমন আলি আঘার দল। দু’দলই প্রথম ম্যাচ জিতেছে। এবার চোখ থাকবে সেই পাঁচ তারকায়, যারা একাই ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারেন।
ভারতের সহ-অধিনায়ক শুভমান গিলকে ঘিরে দলে অন্তর্ভুক্তি নিয়ে বিতর্ক থাকলেও ব্যাট হাতে তিনি দারুণ ফর্মে। আইপিএল থেকে ইংল্যান্ড সিরিজ— সব জায়গায়ই রান ঝরিয়েছেন। সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে ৯ বলে ২০ রানে নিজের ইঙ্গিতও দিয়ে রেখেছেন। অন্যদিকে পাকিস্তানের শাহিন আফ্রিদি সাম্প্রতিক সময়ে ছন্দে না থাকলেও ধীরে ধীরে ফিরছেন ফর্মে। ওমানের বিপক্ষে ২০ রান দিয়ে নিয়েছেন ১ উইকেট।
ভারতের সবচেয়ে বড় আশা সূর্যকুমার যাদব। সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাটে রান না পেলেও, যে কোনো সময় ম্যাচ ঘুরিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন। অন্যদিকে পাকিস্তানের ভরসা স্পিনার আবরার আহমেদ। শেষ তিন ম্যাচে নিয়েছেন ৭ উইকেট। ভারতের বিরুদ্ধে তার ঘূর্ণি হতে পারে বড় চ্যালেঞ্জ।
অলরাউন্ডার হার্দিক পাণ্ডিয়া সবসময়ই পাকিস্তানের বিপক্ষে ঝলক দেখান। ব্যাট-বল দুদিকেই ম্যাচ ঘোরানোর সামর্থ্য রয়েছে তার। পাকিস্তানের বিপক্ষে আবার নজর থাকবে সাইম আয়ুবের উপর। ব্যাটে রান না পেলেও ওমানের বিপক্ষে ৮ রান দিয়ে ২ উইকেট তুলে নিয়েছেন তিনি।
ভারতের পেস আক্রমণে রয়েছেন জসপ্রিত বুমরাহ। তার গতি-নিয়ন্ত্রিত বোলিং দুবাইয়ের উইকেটে হতে পারে সবচেয়ে বড় শক্তি। আমিরাতের বিপক্ষে ১৯ রান দিয়ে ১ উইকেট নিয়েছেন তিনি।
অন্যদিকে পাকিস্তানের আসল ভরসা টপ অর্ডার। সাহিবজাদা ফারহান, ফখর জামান আর মোহাম্মদ হ্যারিস— সবাই শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেন। হ্যারিস ওমানের বিপক্ষে ৪৩ বলে ৬৬ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেছেন।
চোট সারিয়ে ফিরেছেন অভিজ্ঞ ফখর জামানও। ভারতের বিরুদ্ধে বরাবরই ভয়ংকর এই ব্যাটার ১৬ বলে করেছেন ২৩ রান। তবে কুলদীপ যাদবের ঘূর্ণির সামনে তিনি টিকতে পারবেন কি না, সেটাই বড় প্রশ্ন। আমিরাতের বিপক্ষে কুলদীপ ৭ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতেছেন। দুবাইয়ে তার স্পিন হতে পারে ভারতের ট্রাম্প কার্ড।


