বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে বিপিএল দল পেতে আগ্রহী প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৃহস্পতিবার গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসেছিল বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল। সেখানে ফ্র্যাঞ্চাইজিদের লক্ষ্য, উদ্দেশ্য ও প্রস্তুতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড বিসিবি।

আগেই জানা গিয়েছিল, বিপিএলে অংশ নিতে ১১টি প্রতিষ্ঠান আগ্রহ দেখিয়েছে। তবে বৃহস্পতিবারের এই আলোচনায় ডাক পেয়েছিল মাত্র ৯টি প্রতিষ্ঠান। আশ্চর্যের বিষয়—সেই তালিকায় ছিল না বিপিএলের অন্যতম পুরনো ফ্র্যাঞ্চাইজি চিটাগং কিংস।

চিটাগং কিংসের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান এস কিউ স্পোর্টস অবশ্য এবারও চট্টগ্রামের দল পরিচালনায় আগ্রহ দেখিয়েছিল। কিন্তু আমন্ত্রণ না পেয়ে তারা বিসিবির বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ তুলেছে।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রকাশিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে চিটাগং কিংস জানায়, বিসিবি ইচ্ছাকৃতভাবে তাদের সভা থেকে বাদ দিয়েছে। ফ্র্যাঞ্চাইজিটি বিসিবির দেওয়া ব্যাখ্যাও সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়,

“আজ (বৃহস্পতিবার) বিসিবি আসন্ন বিপিএল টি-২০ টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণে আগ্রহী ফ্র্যাঞ্চাইজিদের নিয়ে একটি পরিচিতি সভার আয়োজন করে। তবে উক্ত সভা থেকে অন্যায়ভাবে চিটাগং কিংসকে বাদ দেওয়া হয়। বিসিবির দাবি, এস কিউ স্পোর্টস ফ্র্যাঞ্চাইজি ফি’র পে-অর্ডার জমা দেয়নি—এই বক্তব্য সম্পূর্ণ ভুল।”

চিটাগং কিংস আরও জানায়, তারা ইতোমধ্যেই বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য ইফতেখার রহমান মিঠুর সঙ্গে আলোচনা করেছে যে, পূর্ববর্তী বিরোধ নিষ্পত্তির পর ফ্র্যাঞ্চাইজি ফি জমা দেওয়া হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও যোগ করা হয়,

“এস কিউ স্পোর্টস আনুষ্ঠানিকভাবে বিসিবি ও বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল বরাবর একটি পত্র এবং হাইকোর্টের আদেশ পাঠিয়েছে। সেখানে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী ফি জমা দেওয়ার অবস্থান স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে।”

বিসিবির এই আচরণে গভীর ক্ষোভ প্রকাশ করে চিটাগং কিংস বলেছে,

“আমরা সবসময় বিসিবি ও বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলকে সম্মান করে এসেছি। কিন্তু আদালতের আদেশ উপেক্ষা করে চলমান আইনি প্রক্রিয়া অমান্য করা বেআইনি ও অন্যায়।”

ফ্র্যাঞ্চাইজিটির দাবি, বিসিবির এই পদক্ষেপ কেবল তাদের প্রতি অবিচারই নয়, বরং আইনের প্রতি অবজ্ঞারও উদাহরণ। এখন দেখা যাক, বিসিবি এই অভিযোগের জবাবে কী পদক্ষেপ নেয়।

 

news