রেকর্ড পরিমাণ আয় সত্ত্বেও বড় আর্থিক ধাক্কা খেল অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট বোর্ড । ২০২৪-২৫ অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদনে সংস্থাটি জানিয়েছে, তাদের মোট ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ১১.৩ মিলিয়ন অস্ট্রেলিয়ান ডলার, যা প্রায় ৭.৩৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের সমান।
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) প্রকাশিত প্রতিবেদনে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া এই তথ্য প্রকাশ করে।
আয় বাড়লও, কেন হলো ঘাটতি?
ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া জানিয়েছে, আগের বছরের তুলনায় তাদের মোট রাজস্ব বেড়েছে ৪৯.২ মিলিয়ন ডলার, যা এখন দাঁড়িয়েছে ৪৫৩.৭ মিলিয়ন অস্ট্রেলিয়ান ডলার। এই আয় বৃদ্ধির পিছনে প্রধান দুটি কারণ ছিল:
                                                                           
                                                                    
                                    
ভারতের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত পাঁচ ম্যাচের বর্ডার–গাভাস্কার সিরিজ।
নতুন করে করা দেশীয় সম্প্রচার চুক্তি।
কিন্তু আয় বাড়ার পাশাপাশি ব্যয় বেড়েছে ২৪.১ মিলিয়ন ডলার, যার মধ্যে ছিল ভারত সিরিজের প্রচারের খরচ এবং জাতীয় দলগুলোর অতিরিক্ত ৭০ দিনের সফর খরচ। এছাড়া, সদস্য রাজ্য ও অঞ্চলগুলোতে বিতরণকৃত অর্থ সামান্য বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২০.৯ মিলিয়ন ডলার।
ক্রিকেট ভিক্টোরিয়ার কড়া সমালোচনা
ক্রিকেট ভিক্টোরিয়া (সিভি) বোর্ড এই আর্থিক ঘাটতি নিয়ে সিএ-এর কড়া সমালোচনা করেছে।
                                                                            
                                                                           
                                                                    
                                    
সিভি চেয়ারম্যান রস হেপবার্ন বলেন, "দৃশ্যমান কোনো আর্থিক উন্নতি হয়নি। ২০১৯ সাল থেকে করোনার প্রভাব বাদ দিলেও সিএ ধারাবাহিকভাবে ক্ষতির মুখে।"
ভবিষ্যতের পরিকল্পনা কী?
তবে সিএ-এর প্রধান নির্বাহী টড গ্রিনবার্গ আশাবাদী। তিনি জানান, ২০২৫-২৬ মৌসুমে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অ্যাশেজ সিরিজ আয় বাড়াবে। সংস্থাটি আগামী অর্থবছরে বাণিজ্যিক ও স্পনসরশিপ থেকে আয় ৬৯ মিলিয়ন থেকে ৮৬ মিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে।
                                                                           
                                                                    
                                    
এছাড়াও বোর্ড বিগ ব্যাশ লিগে (বিবিএল) বেসরকারি বিনিয়োগের সম্ভাবনা যাচাই করছে। যদিও এই ক্ষেত্রে সদস্য রাজ্যগুলোর সম্মতি পাওয়া একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে রয়ে গেছে।
 
                                
                                 
	 
                                 
                     
 
 
 
                                                                                    
 
                                                                                                                          
                                                                                                                             
                                                                                                                             
                                                                                                                             
                                                                                                                             
                                                                                                                             
                                                                                                                             
                                                                                                                            