প্রথম বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে শততম টেস্ট খেলতে নেমেছেন মুশফিকুর রহিম। তার এই বিশেষ উপলক্ষ্যটাকে স্মরণীয় করে তোলার অপেক্ষা আরও কিছুটা বাড়ল। তবে সেঞ্চুরির দোরগোড়ায় থাকা এই ব্যাটার এবং লিটন দাসের দৃঢ় ব্যাটিংয়ে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টের প্রথম ইনিংসে বড় সংগ্রহের পথে রয়েছে বাংলাদেশ।

বুধবার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ম্যাচের প্রথম দিনের খেলা শেষে স্বাগতিকদের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ২৯৩ রান।

দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করবেন মুশফিক ৯৯ রান এবং লিটন ৪৭ রান নিয়ে। পঞ্চম উইকেটে এই দুই ব্যাটার এখন পর্যন্ত ৯০ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েছেন।

মুশফিকের শততম টেস্টের এই মাইলফলককে স্মরণীয় করে রাখতে ম্যাচ শুরুর আগে বিসিবির পক্ষ থেকে তাকে বিশেষ সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এ সময় তার পরিবারের সদস্যরাও মাঠে উপস্থিত ছিলেন।

টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে দলকে দারুণ শুরু এনে দেন মাহমুদুল হাসান জয় ও সাদমান ইসলাম। তবে অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইন-এর বলে এলবিডাব্লিউর ফাঁদে পড়ে ৩৫ রানে আউট হন সাদমান। এতে ৫২ রানের উদ্বোধনী জুটিটি ভাঙে।

সাদমানের বিদায়ের পর আইরিশ স্পিনে কিছুটা চাপের মধ্যে পড়ে রান তুলতে হিমশিম খান বাংলাদেশের ব্যাটাররা। ম্যাকব্রাইনকে ডাউন দ্য উইকেটে এসে খেলতে গিয়ে মিড-অফে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন জয় (৩৪)। এরপর ম্যাকব্রাইনকে ছক্কা হাঁকানোর পরের বলেই বোল্ড হয়ে মাত্র ৮ রান করে সাজঘরে ফেরেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তও।

৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়া দলকে নিয়ে মধ্যাহ্ন ভোজের বিরতির আগে হাল ধরেন মুশফিক ও মুমিনুল হক। তবে এই পার্টনারশিপে আইরিশ ফিল্ডারদের 'অবদান'ও ছিল। মুমিনুল ব্যক্তিগত ২৩ ও ৪৯ রানে দু'বার জীবন পান। অন্যদিকে, ২২ রানে থাকা মুশফিকের ক্যাচ গ্লাভসে জমাতে পারেননি উইকেটকিপার লরকান টাকার।

দুটি জীবন পেলেও ইনিংস বড় করতে ব্যর্থ হন মুমিনুল। চা বিরতির পর দ্বিতীয় ওভারেই তিনি সাজঘরের পথ দেখেন। ৬৩ রান করা এই ব্যাটারকে ফিরিয়ে ১০৭ রানের জুটিটি ভাঙেন ম্যাকব্রাইন।

অপেক্ষার শেষ কোথায়?
দিনের বাকিটা সময় কোনো বিপদ ছাড়াই লিটন দাসকে নিয়ে পার করেন মুশফিক। ক্রিজে এসে শুরুতে দ্রুত রান তোলা লিটন পরে টেস্ট মেজাজে ব্যাটিং শুরু করেন।

তবে দিনের শেষ ওভারের পঞ্চম বলে নিজের প্রিয় স্লগ সুইপে চার মারার চেষ্টা করলেও সেখান থেকে এক রান নেন মুশফিক। ফলে মাইলফলকের ম্যাচে তিন অঙ্ক স্পর্শ করার জন্য অপেক্ষা বাড়ল তার। সেঞ্চুরি করতে পারলে টেস্ট ইতিহাসের একাদশ ব্যাটার হিসেবে শততম টেস্টে শতক হাঁকানোর কীর্তি গড়বেন তিনি।