গুয়াহাটিতে ২২ নভেম্বর থেকে শুরু দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে শুভমান গিলের খেলা নিয়ে যে সাসপেন্স ছিল, তা এখন বড় উদ্বেগে পরিণত হয়েছে ভারতের জন্য।
দলের সঙ্গে গিল গুয়াহাটি গেলেও চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছেন, কিন্তু ভারত অধিনায়ক এই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ মিস করবেন বলেই প্রায় নিশ্চিত।
কলকাতা টেস্টে পাওয়া ঘাড়ের চোট থেকে গিল এখনও সেরে ওঠেননি। বিসিসিআই মেডিকেল টিম পুরো সময় তার সঙ্গে থাকবে, কিন্তু ম্যাচ খেলতে হলে তার অলৌকিক সুস্থতা লাগবে।
রেভস্পোর্টজের খবরে বলা হয়েছে, গিলের ঘাড়ের ব্যায়াম শিগগিরই শুরু হবে, কিন্তু স্পেশালিস্টরা বলছেন কমপক্ষে পাঁচ-সাত দিন লাগবে ফিট হতে। ম্যাচের আগে মাত্র কয়েকদিন বাকি থাকায় গিলকে ছিটকে গেছেন বলেই ধরে নেওয়া হচ্ছে।
গিল না থাকলে ভারতকে এই জয়-বাঁচা ম্যাচের জন্য ব্যাটিং অর্ডার নতুন করে সাজাতে হবে। সবচেয়ে বড় প্রশ্ন নাম্বার চারে, আর সবচেয়ে সহজ সমাধান সাই সুদর্শন। রিপোর্ট বলছে, সাই একাদশে ফিরছেন।
কলকাতায় প্রথম টেস্টে সাই খেলেননি কারণ ওয়াশিংটন সুন্দরকে নাম্বার থ্রিতে খেলানো হয়েছিল। এবার সাই নিজের নিয়মিত নাম্বার থ্রিতে ফিরবেন, ওয়াশিংটন নামবেন নিচে।
কলকাতা টেস্টে গিল বাদ পড়লে দ্বিতীয় ইনিংসে নাম্বার চারে ব্যাট করা ধ্রুব জুরেল এবারও সেই জায়গা ধরে রাখবেন। কিন্তু নাম্বার চারের সমস্যা মেটালেও ভারতের সবচেয়ে বড় সমস্যা মিটছে না—সেটা হলো বাঁ-হাতি ব্যাটারের ভিড়।
কলকাতায় ছয়জন বাঁ-হাতি ছিল ভারতের ব্যাটিং লাইনআপে, আর সাইমন হার্মার ম্যাচে আট উইকেট নিয়ে তাদের নিয়ে ছেলেখেলা করেছেন। টার্নিং পিচে বাঁ-হাতিদের একাই শেষ করে দিয়েছিলেন হার্মার।
এই কারণেই নিতীশ কুমার রেড্ডিকে দলে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। তার ডান-হাতি ব্যাটিং আর সিম বোলিং ভারতকে যে ভারসাম্য দরকার, তাই দেবে।
গুয়াহাটির কন্ডিশনই ঠিক করবে কে বাদ পড়বে নিতীশের জন্য
অক্সার প্যাটেল কলকাতায় অতিরিক্ত স্পিন অলরাউন্ডার হিসেবে খেলেছিলেন, নিতীশ তার জায়গায় আসবেন কিনা তা নির্ভর করবে গুয়াহাটির কন্ডিশনের ওপর।
গুয়াহাটির আবহাওয়া ও সময়ই ম্যাচে বড় ভূমিকা নেবে। নভেম্বরের মাঝামাঝি সকালে ঠান্ডা থাকবে, বল সুইং করবে বেশি। ম্যাচ শুরু হবে সকাল ৯টায়, প্রথম সেশনের পর চা, দ্বিতীয় সেশনের পর লাঞ্চ। লাল মাটির পিচ হবে, ইডেনের কালো মাটির পিচ থেকে একদম আলাদা।
