পাকিস্তান টি-টোয়েন্টি ত্রিদেশীয় সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে জিম্বাবুয়ের মুখোমুখি হতে চলেছে শ্রীলঙ্কা। স্কোয়াডে একাধিক পরিবর্তনের পর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচের জন্য শ্রীলঙ্কার সম্ভাব্য সেরা একাদশ কেমন হতে পারে, সেই বিশ্লেষণ থাকছে এই আর্টিকেলে।
চলমান টি-টোয়েন্টি ত্রিদেশীয় সিরিজের জন্য শ্রীলঙ্কার স্কোয়াডে শেষ মুহূর্তে কিছু পরিবর্তন এসেছে। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হলো, অসুস্থতার কারণে নিয়মিত অধিনায়ক চরিত আসালাঙ্কাকে দেশে ফিরে যেতে হয়েছে।
আসালাঙ্কার পাশাপাশি পেসার আসিথা ফার্নান্ডোও দলের অংশ নন। এর ফলে শ্রীলঙ্কার পেস বোলিং বিভাগের প্রধান দায়িত্ব বর্তেছে দুশমন্ত চামিরার কাঁধে।
আসালাঙ্কার অনুপস্থিতিতে দলের নেতৃত্ব দিতে ফিরে এসেছেন সাবেক অধিনায়ক দাশুন শানাকা। সীমিত সম্পদ নিয়েও তিনি দলকে ভালোভাবে পরিচালনা করার চেষ্টা করবেন।
শ্রীলঙ্কা দলে যে সংখ্যক পরিবর্তন এসেছে, তার বেশিরভাগই বোলিং বিভাগে। তাই প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে একটি 'গড়-এর চেয়ে বেশি' স্কোর বোর্ডে তুলতে ব্যাটসম্যানদের ওপর মূল দায়িত্ব থাকবে।
সাবেক টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ী দলটি পাথুম নিসাঙ্কা এবং সাবেক অধিনায়ক কুশল মেন্ডিসকে (উইকেটরক্ষক) দিয়ে ইনিংস ওপেন করবে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পাথুম দারুণ ফর্মে আছেন এবং শ্রীলঙ্কার ব্যাটিং লাইনআপের মূল ভিত্তি হয়ে উঠেছেন। মেন্ডিসের সাথে ভালো শুরু এনে দেওয়াই হবে তার প্রধান কাজ। উভয় ব্যাটারকেই ব্যক্তিগতভাবে বড় রান করার প্রত্যাশা থাকবে, যা পরবর্তী ম্যাচগুলোর জন্য আত্মবিশ্বাস যোগাবে।
শ্রীলঙ্কার মিডল অর্ডার কেমন পারফর্ম করে, তার ওপর ম্যাচের ভাগ্য অনেকাংশে নির্ভর করবে। কারণ কুশল পেরেরা, কামিল মিশারা এবং ভানুকা রাজাপাকসার মতো খেলোয়াড়রা যদি দ্রুত রান করতে পারেন, তবে বোলারদের কাজ সহজ হয়ে যাবে।
দলের বোলিং আক্রমণে অভিজ্ঞতার ঘাটতি থাকায়, লঙ্কাকে ম্যাচে টিকে থাকতে হলে অন্তত ১৭০ থেকে ১৮০ রান করতেই হবে।
বড় হিটার ভানুকা রাজাপাকসা, জনিত লিয়ানাগে এবং অধিনায়ক দাশুন শানাকার উপস্থিতিতে দলের সেই ক্ষমতা আছে, যারা ইনিংসের শেষ দিকে বড় শট খেলতে পারেন। তবে শেষ পাঁচ ওভারে শানাকা ও লিয়ানাগের বাউন্ডারি মারার পরিকল্পনা কার্যকর করতে হলে, শীর্ষ পাঁচ ব্যাটসম্যানকে একটি শক্ত প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে দিতে হবে।
মিডল অর্ডার ও অলরাউন্ডার: কুশল পেরেরা, কামিল মিশারা, কামিন্দু মেন্ডিস, ভানুকা রাজাপাকসা, জনিত লিয়ানাগে, দাশুন শানাকা (অধিনায়ক)
বোলিং বিভাগ: অভিজ্ঞতার অভাব
লঙ্কার বোলিং আক্রমণে অভিজ্ঞতার কিছুটা ঘাটতি রয়েছে। কারণ এই স্কোয়াডে আসিথা ফার্নান্ডো এবং ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা নেই।
অর্থাৎ, বোলিংয়ের প্রধান কাজ করতে হবে মহেশ থিকশানা এবং দুশমন্ত চামিরাকে। তাদের সাহায্য করবেন নুয়ান থুশারা। যদি শ্রীলঙ্কা ব্যাটিং নির্ভর একাদশ নিয়ে মাঠে নামে, তবে দাশুন শানাকাকেও তার পূর্ণ কোটার ওভার বল করতে হবে।
এই ম্যাচে বল হাতে একটি সম্মিলিত প্রচেষ্টা দরকার হবে। কামিন্দু মেন্ডিস এবং জনিত লিয়ানাগের মতো খেলোয়াড়দেরও প্রয়োজন হলে হাত ঘোরাতে হবে, যাতে প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানদেরকে চাপে রাখা যায়।
