ভারতের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে দুর্দান্ত বোলিং করে আইসিসির স্বীকৃতি পেলেন দক্ষিণ আফ্রিকার অভিজ্ঞ স্পিনার সাইমন হারমার। ভারতের বিপক্ষে সিরিজজুড়ে একাই ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়ার পুরস্কার হিসেবে তাকে দেওয়া হয়েছে আইসিসি মেনস প্লেয়ার অব দ্য মান্থ (নভেম্বর ২০২৫) সম্মান।

এই পুরস্কার জিততে হারমার পেছনে ফেলেছেন বাংলাদেশের তাইজুল ইসলাম ও পাকিস্তানের মোহাম্মদ নওয়াজকে।

আইসিসির পুরস্কার জিতলেন সাইমন হারমার ও শেফালি ভার্মা

নভেম্বর ২০২৫-এর জন্য আইসিসি মেনস প্লেয়ার অব দ্য মান্থ পুরস্কারের জন্য মনোনীত ছিলেন সাইমন হারমার, তাইজুল ইসলাম ও মোহাম্মদ নওয়াজ। শেষ পর্যন্ত ভারতের বিপক্ষে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের সুবাদে পুরস্কারটি জিতে নেন হারমার।

ভারতের মাটিতে অনুষ্ঠিত টেস্ট সিরিজে দক্ষিণ আফ্রিকা ২-০ ব্যবধানে ক্লিন সুইপ করে। দুই ম্যাচে হারমার শিকার করেন ১৭টি উইকেট, সঙ্গে একটি ম্যাচে হন প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচ—যা তার পুরস্কার জয়ের পথ আরও সহজ করে দেয়।

নারীদের বিভাগে আইসিসি উইমেন্স প্লেয়ার অব দ্য মান্থ (নভেম্বর ২০২৫) নির্বাচিত হয়েছেন ভারতের তারকা ওপেনার শেফালি ভার্মা। আইসিসি নারী বিশ্বকাপ ফাইনালে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের জন্য এই সম্মান পেয়েছেন তিনি।

দেরিতে সুযোগ পেয়ে ইতিহাস গড়লেন শেফালি

ভারতীয় ওপেনার প্রতিকা রাওয়াল অদ্ভুত এক চোটে ছিটকে যাওয়ার পর একেবারে শেষ মুহূর্তে দলে ডাক পান শেফালি। সুযোগ পেয়েই বাজিমাত করেন তিনি।

দক্ষিণ আফ্রিকা নারী দলের বিপক্ষে বিশ্বকাপ ফাইনালে শেফালি খেলেন ৭৮ বলে ৮৭ রানের ঝকঝকে ইনিংস। ব্যাটের পর বল হাতেও ম্যাচ ঘুরিয়ে দেন তিনি—আউট করেন সুনে লুস ও মারিজানে ক্যাপকে, যা ভারতের জয়ে বড় ভূমিকা রাখে।

“এই পুরস্কার পাওয়া আমার জন্য গর্বের”—সাইমন হারমার

আইসিসির প্রকাশিত বিবৃতিতে সাইমন হারমার বলেন,
“নভেম্বর মাসের আইসিসি মেনস প্লেয়ার অব দ্য মান্থ হতে পারাটা সত্যিই গর্বের। নিজের দেশের হয়ে খেলা আমার স্বপ্ন ছিল, আর এর সঙ্গে এমন সম্মান পাওয়া বাড়তি পাওনা।”

তিনি আরও বলেন,
“এই পুরস্কার আমি আমার সতীর্থ, কোচ ও সাপোর্ট স্টাফদের সঙ্গে ভাগ করে নিচ্ছি। আর উৎসর্গ করছি আমার পরিবারকে—যারা আমাকে স্বপ্ন পূরণের সুযোগ করে দেয়।”

“প্রোটিয়াস দলের অংশ হতে পারাটা সম্মানের। এই অসাধারণ দলের সঙ্গে আরও অনেক সফল মৌসুম কাটাতে চাই।”

“ফাইনালে অবদান রাখতে পেরে কৃতজ্ঞ”—শেফালি ভার্মা

পুরস্কার জিতে উচ্ছ্বসিত শেফালি ভার্মাও আবেগ ধরে রাখতে পারেননি। তিনি বলেন,
“আমার প্রথম নারী বিশ্বকাপ যেমনটা ভেবেছিলাম, তেমন শুরু হয়নি। কিন্তু শেষটা স্বপ্নের থেকেও সুন্দর হয়েছে।”

তিনি যোগ করেন,
“ফাইনালে দলের জয়ে অবদান রাখতে পেরে আমি কৃতজ্ঞ। প্রথমবার ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ জয়ের ইতিহাসের অংশ হতে পেরে গর্বিত।”

“এই পুরস্কার আমি আমার সতীর্থ, কোচ, পরিবার এবং আমাকে এতদিন সমর্থন করা সবাইকে উৎসর্গ করছি। দল হিসেবেই আমরা জিতি ও হারি—এই পুরস্কারও তারই অংশ।”

 

news