অস্ট্রেলিয়ায় চলমান তৃতীয় অ্যাশেজ টেস্টের প্রথম দিনেই বড় বিতর্ক। স্নিকো প্রযুক্তির ত্রুটির কারণে ইংল্যান্ড একটি নিশ্চিত উইকেট থেকে বঞ্চিত হয়েছে—এমনটা মেনে নিয়ে আইসিসি ইংল্যান্ডের হারানো ডিআরএস রিভিউ ফিরিয়ে দেয়। ইংল্যান্ড দলের ম্যানেজমেন্ট ও ম্যাচ রেফারি জেফ ক্রো–এর আলোচনার পর প্রযুক্তি সরবরাহকারী স্বীকার করে, অপারেটর ত্রুটির কারণেই সমস্যা হতে পারে।

বিতর্কের কেন্দ্রে ছিলেন অ্যালেক্স কেরি। ৭২ রানে ব্যাট করার সময় জশ টাং–এর বলে ক্যাচ-বিহাইন্ড আবেদন নামঞ্জুর করেন অন-ফিল্ড আম্পায়ার। ইংল্যান্ড রিভিউ নিলে দেখা যায়, স্নিকো ঠিকভাবে কাজ করেনি। অডিওতে শব্দ ধরা পড়লেও রিপ্লেতে বোঝা যায়, সেটি ব্যাটে বল লাগার আগেই হয়েছে। ফলে টিভি আম্পায়ার নট আউট সিদ্ধান্তই বহাল রাখেন। সুযোগ কাজে লাগিয়ে কেরি পরে সেঞ্চুরি করেন।

প্রযুক্তি বিকলের পর ইংল্যান্ডের রিভিউ পুনর্বহাল

জানায়, ঘটনার পর ব্রেন্ডন ম্যাককালাম ও টিম ম্যানেজার ওয়েন বেন্টলি ম্যাচ রেফারি জেফ ক্রোর সঙ্গে কথা বলেন এবং উদ্বেগ জানান। পরে কর্মকর্তারা প্রযুক্তিগত সমস্যার কথা স্বীকার করলে ইংল্যান্ডের হারানো রিভিউ ফিরিয়ে দেওয়া হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, “খেলা শেষে ম্যাককালাম ও বেন্টলি জেফ ক্রোর সঙ্গে বৈঠক করে অভিযোগ জানান। ভবিষ্যতে সিদ্ধান্তপ্রক্রিয়া উন্নত করতে আইসিসিকে সিস্টেম রিভিউ করতে উৎসাহ দেবে ইসিবি।”

আইসিসি নিয়মে প্রযুক্তি ব্যর্থ হলে রিভিউ ফেরত

আইসিসির প্লেয়িং কন্ডিশন অনুযায়ী, প্রযুক্তি ব্যর্থতার কারণে সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ না হলে রিভিউ ফেরত দেওয়া যায়। অতীতেও এই নিয়ম প্রয়োগ হয়েছে—২০২১ সালে ভারতে ইংল্যান্ড সফরের সময় একই ধরনের ভুলে।

এই সিদ্ধান্তে দ্বিতীয় দিনে অ্যাডিলেডে খেলা শুরু হলে ইংল্যান্ডের হাতে দুইটি রিভিউ ছিল। তখন অস্ট্রেলিয়ার স্কোর ছিল ৮ উইকেটে ৩২৬ রান।

এই ঘটনায় আইসিসি অনুমোদিত দুটি সাউন্ড-ভিত্তিক এজ ডিটেকশন সিস্টেম নিয়েও আলোচনা শুরু হয়—অস্ট্রেলিয়ায় ব্যবহৃত RTS, আর বিশ্বের অন্যত্র ব্যবহৃত UltraEdge।

প্রযুক্তির ওপর ভরসা নেই—রিকি পন্টিং

অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক রিকি পন্টিং RTS সিস্টেমের নির্ভরযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তার মতে, আম্পায়ারদের প্রযুক্তির ওপর পূর্ণ আস্থা নেই, ফলে থার্ড আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত নেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে।

চ্যানেল ৭–এ ধারাভাষ্যে পন্টিং বলেন, “এখানে যে প্রযুক্তি ব্যবহার হচ্ছে, তা অন্য দেশের তুলনায় ভালো নয়। আম্পায়ারদের সঙ্গে কথা বললে তারাও বলবে—তারা এটা বিশ্বাস করতে পারে না। থার্ড আম্পায়ারকে যে তথ্য দেওয়া হচ্ছে, সেটার ওপর ভরসা না থাকলে ইনস্টিংক্টে সিদ্ধান্ত নেওয়া ঠিক নয়। প্রযুক্তি হলে সেটা বিশ্বাসযোগ্য হতেই হবে।”

 

news