ভারী কুয়াশার কারণে লখনউয়ে ভারত–দক্ষিণ আফ্রিকা চতুর্থ টি-টোয়েন্টি পরিত্যক্ত হওয়ার পর টিকিটের টাকা ফেরত নিয়ে দর্শকদের মধ্যে তৈরি হয়েছে ব্যাপক প্রশ্ন। এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। বোর্ডের সচিব দেবজিত সাইকিয়া স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, টিকিট রিফান্ডের সম্পূর্ণ দায়িত্ব উত্তর প্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন -এর।
বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর, লখনউয়ের একানা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ঘন কুয়াশার কারণে ম্যাচটি পরিত্যক্ত হয়। ফলে কোনো ফল ছাড়াই সিরিজে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে থাকে ভারত। এখন সিরিজের ভাগ্য নির্ধারিত হবে ১৯ ডিসেম্বর, আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে পঞ্চম ও শেষ ম্যাচে।
কুয়াশায় থমকে গেল লখনউয়ের চতুর্থ টি-টোয়েন্টি
লখনউয়ে চতুর্থ টি-টোয়েন্টি শুরু থেকেই অনিশ্চয়তায় পড়ে। কুয়াশার কারণে দৃশ্যমানতা খুব খারাপ থাকায় সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে টসই করা যায়নি। আম্পায়াররা বারবার মাঠ পরিদর্শন করেন, কিন্তু পরিস্থিতির কোনো উন্নতি হয়নি।
নির্দিষ্ট বিরতিতে একাধিকবার পরীক্ষা চালানো হলেও খেলাযোগ্য অবস্থা তৈরি হয়নি। শেষ পর্যন্ত রাত ৯টা ৩০ মিনিটে ম্যাচ পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। উল্লেখযোগ্য বিষয়, ম্যাচে একটি বলও মাঠে গড়ায়নি।
এই ম্যাচ বাতিল হওয়ায় পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ভারত ২-১ লিড ধরে রাখে। পাশাপাশি, শীতকালে উত্তর ভারতে আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজন নিয়েও নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে। উল্লেখ্য, আগামী বছর ফেব্রুয়ারি-মার্চে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন করবে ভারত।
টিকিট ও রিফান্ড সবই রাজ্য সংস্থার অধীনে—দেবজিত সাইকিয়া
ম্যাচ না হওয়ায় স্টেডিয়ামে উপস্থিত হাজারো দর্শক হতাশ হয়ে ফেরেন। এখন তাদের বড় প্রশ্ন—টিকিটের টাকা কি ফেরত পাবেন?
এ বিষয়ে দেবজিত সাইকিয়া জানান, টিকিট সংক্রান্ত সব সিদ্ধান্ত বিসিসিআইয়ের হাতে নেই। হোস্ট রাজ্য সংস্থাই এ বিষয়ে চূড়ান্ত কর্তৃপক্ষ।
তিনি বলেন, “এটা রাজ্য ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের বিষয়, অর্থাৎ UPCA-এর অধীনে। এই ম্যাচের হোস্ট রাজ্য তারাই, তাই রিফান্ড নিয়ে তারাই জানাতে পারবে এবং তারাই উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ।”
আরও যোগ করেন, “টিকিটিংয়ের পুরো প্রক্রিয়াই রাজ্য সংস্থার মাধ্যমে হয়। বিসিসিআই শুধু ম্যাচ আয়োজনের অধিকার দেয়, বাকি সব দায়িত্ব রাজ্য সংস্থার।”
এটা ব্যতিক্রমী আবহাওয়া পরিস্থিতি—বিসিসিআই সচিব
কুয়াশা ও বায়ুদূষণ এতটাই বেড়ে যায় যে, ভারতীয় অলরাউন্ডার হার্দিক পান্ডিয়াকে মাঠে মাস্ক পরতেও দেখা যায়। শীতকালে উত্তর ভারতে ম্যাচ আয়োজন নিয়ে পুরনো উদ্বেগ আবার সামনে এলেও, বিসিসিআই একে ব্যতিক্রমী ঘটনা বলেই দেখছে।
দেবজিত সাইকিয়া বলেন, “না, এটা একেবারেই বিচ্ছিন্ন আবহাওয়ার ঘটনা। সাধারণত জানুয়ারি মাসে এমন আবহাওয়া দেখা যায়। এবার একটু আগেই হয়েছে। আর সেদিন ধরমশালাতেও ম্যাচ হয়েছিল—যেটা আরও ঠান্ডা জায়গা। কুয়াশা বা বৃষ্টি আগে থেকে অনুমান করা যায় না। এখন ক্রিকেট সারা বছরই খেলা হয়, তাই ম্যাচ আয়োজন করতেই হবে।”
