ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) ২০২৬ সালের টিম ইন্ডিয়ার সেন্ট্রাল কন্ট্রাক্ট ঘোষণা করতে চলেছে, আর এতে বড় পরিবর্তন আসতে পারে খেলোয়াড়দের ক্যাটাগরিতে। সিনিয়র তারকা রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলির মতো ক্রিকেটাররা ডিমোশন খেতে পারেন, কারণ তারা দুটো ফরম্যাট থেকে অবসর নিয়েছেন।
রোহিত ও বিরাট ২০২৪ আইসিসি টি-টোয়েন্টি ওয়ার্ল্ড কাপ জিতে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ার শেষ করেছেন। অ্যান্ডারসন-তেন্ডুলকর ট্রফির আগে কয়েকদিনের ব্যবধানে দুজনেই টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর ঘোষণা করেন। তবে বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফির পরই দুজনে রঞ্জি ট্রফি ম্যাচ খেলতে ফিরেছেন।
রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি বিসিসিআই সেন্ট্রাল কন্ট্রাক্টে ডিমোশন খেতে পারেন
আগে রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলি তিন ফরম্যাটেই খেলায় গ্রেড এ+ কন্ট্রাক্টে ছিলেন। কিন্তু টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নেওয়ার পর এখন শুধু ওডিআইয়ে খেলছেন, যা তাদের কন্ট্রাক্ট স্ট্যাটাস বদলে দিতে পারে।
স্পোর্টস্টাকের খবর অনুযায়ী, রোহিত ও কোহলিকে এ+ ক্যাটাগরি থেকে নামানো হতে পারে, কারণ এই টপ টিয়ারটা তিন ফরম্যাটেই খেলা খেলোয়াড়দের জন্য। এ+ কন্ট্রাক্টে বছরে ৭ কোটি রুপি পাওয়া যায়, আর ২০১৮ সালে এটা চালু হওয়ার পর থেকে কোহলি এই এলিট গ্রুপে আছেন।
এদিকে শুভমন গিলের প্রমোশন হতে পারে। ভারতের বর্তমান ওডিআই ও টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে গিলকে গ্রেড এ থেকে এ+-এ তোলা হতে পারে। আগের সেন্ট্রাল কন্ট্রাক্ট সাইকেল ছিল ২০২৪ অক্টোবরের ১ তারিখ থেকে ২০২৫ সেপ্টেম্বরের ৩০ তারিখ পর্যন্ত।
ইশান কিষাণ বিসিসিআই সেন্ট্রাল কন্ট্রাক্টে থাকতে পারেন
বোর্ড অব কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া ইশান কিষাণকে সেন্ট্রাল কন্ট্রাক্ট সিস্টেমে রাখতে পারে। সম্প্রতি তাকে আইসিসি টি-টোয়েন্টি ওয়ার্ল্ড কাপের স্কোয়াডে নেওয়া হয়েছে।
এ+ কন্ট্রাক্ট ক্যাটাগরিতে তিন ফরম্যাটেই গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়রা থাকবেন। শুভমন গিল, রবীন্দ্র জাদেজা ও জাসপ্রিত বুমরাহ নেতৃত্বের ভূমিকা ও ধারাবাহিকতার জন্য এই এলিট ব্র্যাকেটে থাকতে বা জায়গা পেতে পারেন।
নতুন সেন্ট্রাল কন্ট্রাক্টগুলো পরের কয়েকদিনের মধ্যে ঘোষণা হতে পারে। খেলোয়াড়দের কন্ট্রাক্টের পাশাপাশি বোর্ড ঘরোয়া আম্পায়ার ও ম্যাচ রেফারিদের ম্যাচ ফি বাড়ানোর দীর্ঘদিনের প্রস্তাবও রিভিউ করতে চলেছে, যা ঘরোয়া ক্রিকেট সার্কিটে উদ্বেগের বিষয়।
বিসিসিআই কীভাবে সেন্ট্রাল কন্ট্রাক্ট গ্রেড ঠিক করে
বিসিসিআই প্রতি বছর সেন্ট্রাল কন্ট্রাক্ট গ্রেড রিভিউ করে, আর এটা শুধু খেলোয়াড়ের নাম বা অতীতের সাফল্যের ওপর নির্ভর করে না। সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স, ধারাবাহিকতা, ফিটনেস ও আগের সিজনে সামগ্রিক প্রভাব বড় ভূমিকা রাখে প্রমোশন, রিটেন বা ডিমোশনের সিদ্ধান্তে।
ম্যাচ খেলার সংখ্যাও গুরুত্বপূর্ণ। সিনিয়র ক্রিকেটারদেরও টেস্ট, ওডিআই বা টি-টোয়েন্টিতে ন্যূনতম ম্যাচ খেলার শর্ত পূরণ করতে হয় কন্ট্রাক্ট পাওয়ার জন্য। বেশি ম্যাচ খেললেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে উঁচু গ্রেড পাওয়া যায় না।
আরেকটা বড় শর্ত হলো ঘরোয়া ক্রিকেটে অংশগ্রহণ। আন্তর্জাতিক দায়িত্ব না থাকলে বিসিসিআই রঞ্জি ট্রফির মতো টুর্নামেন্টে খেলার আশা করে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এই নিয়মটা অনেক কড়া হয়েছে।
