বিপিএলের প্রথম দিনের দুই ম্যাচে ছিল রানবন্যা। তবে দ্বিতীয় দিনের প্রথম ম্যাচে পুরোপুরি ভিন্ন চিত্র। লো-স্কোরিং এই লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত জয় তুলে নেয় ঢাকা ক্যাপিটালস।
আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৩২ রান সংগ্রহ করে রাজশাহী ওয়ারিয়র্স। জবাবে ব্যাট করতে নেমে লক্ষ্যটা সহজ হলেও ঢাকাকে পড়তে হয় বেশ চাপেই। শেষ পর্যন্ত ১৮ ওভার ১ বলে ৫ উইকেট হারিয়ে জয় নিশ্চিত করে রাজধানীর দলটি।
টস জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত, শুরুতেই ধাক্কা রাজশাহীর
এদিন টস জিতে রাজশাহীকে আগে ব্যাটিংয়ে পাঠান ঢাকার অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন। সিদ্ধান্তটা যে একদম ঠিক ছিল, তা বোঝা যায় প্রথম বলেই। ইমাদ ওয়াসিমের প্রথম ডেলিভারিতেই শাহিবজাদা ফারহান ফিরে যান সাজঘরে।
অন্য ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম শুরুটা ভালো করলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। ১৫ বলে ৪টি বাউন্ডারিতে করেন ২০ রান।
শান্ত-মুশফিক চেষ্টা করলেও বড় রান হয়নি
রাজশাহীর হয়ে সর্বোচ্চ ৩৭ রান করেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ২৮ বলে তাঁর ইনিংসে ছিল ২টি বাউন্ডারি ও ২টি ছক্কা। মুশফিকুর রহিম খেলেন ২৩ বলে ২৪ রানের ইনিংস। শেষ দিকে মোহাম্মদ নেওয়াজ ঝড় তুলতে না পারলেও ২৬ বলে ২৬ রান করে অপরাজিত থাকেন।
ঢাকার বোলিংয়ে ছিলেন দুর্দান্ত ইমাদ ওয়াসিম। ৪ ওভারে মাত্র ১৬ রান দিয়ে তুলে নেন ৩টি উইকেট। নাসির হোসেন ৩২ রান খরচ করে নেন ২টি উইকেট। ব্যাট হাতে ঢাকার হয়ে সাব্বির রহমান ১০ বলে ২ ছক্কায় অপরাজিত ২১ রান করেন, শামীম হোসেন পাটোয়ারী খেলেন ১৩ বলে অপরাজিত ১৭ রানের ইনিংস।
রাজশাহীর পক্ষে বল হাতে উজ্জ্বল ছিলেন মোহাম্মদ নেওয়াজ। তিনি ৪ ওভারে ২১ রান দিয়ে নেন ৩টি উইকেট।
ছোট লক্ষ্যেও ঢাকার শুরুটা ছিল নড়বড়ে
১৩৩ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ভালো শুরু করতে পারেনি ঢাকা। মাত্র ৪ বলে ১ রান করে তানজিম হাসান সাকিবের বলে বোল্ড হন এক ওপেনার। আরেক ওপেনার উসমান খানও ব্যর্থ হন বড় ইনিংস খেলতে। ১৫ বলে ২টি বাউন্ডারিতে করেন ১৮ রান।
মামুনের দায়িত্বশীল ইনিংস, শেষে সাব্বির-শামীমের ঝড়
তিন নম্বরে নামা আব্দুল্লাহ আল মামুন ঢাকাকে জয়ের পথে রাখেন। লক্ষ্য ছোট হওয়ায় বেশ বুঝেশুনেই খেলেন তিনি। তবে ফিফটি থেকে মাত্র ৫ রান দূরে থেকে ফিরে যেতে হয় তাঁকে। ৩৯ বলে ৪টি বাউন্ডারি ও ১টি ছক্কায় করেন ৪৫ রান—ঢাকার পক্ষে সর্বোচ্চ।
মাঝে অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন করেন ১২ রান, নাসির হোসেন যোগ করেন ১৯। শেষ দিকে ঝড়ো ব্যাটিং করে ঢাকার জয় নিশ্চিত করেন সাব্বির রহমান ও শামীম হোসেন পাটোয়ারী।
