ইংল্যান্ডকে আটকে দিয়ে ইরানের কাজ কঠিন করে তুলল আমেরিকা

কাতার বিশ্বকাপে একের পর এক চমক দেখেই চলছে ফুটবল বিশ্ব। জার্মানির বিপক্ষে জাপানের জয়, আর্জেন্টিনার বিপক্ষে সৌদি আরবের জয়। তবে এবার জয় পরাজয়ের ঘটনা ঘটেনি। অবশ্য খাতা কলমে, ইতিহাস ঐতিহ্যে এগিয়ে থাকা ইংল্যান্ডকে গোলশূন্য ড্র'তে আটকে দিয়েছে আমেরিকা। আর তাতেই বিশ্বকাপের শেষ ষোলোতে খেলার স্বপ্ন বেঁচে রইল আমেরিকার। আর এই ড্রয়ের মাধ্যমে নক-আউট পর্বে ইরানের খেলার সম্ভাবনাকে কঠিন করে দিল আমেরিকা।

নিজেদের প্রথম ম্যাচে ইংল্যান্ডের কাছে ২-৬ গোলে হেরে বিশ্বকাপের খেলা থেকে একরকম ছিটকে পড়তে যাচ্ছিল ইরান। কিন্তু শুক্রবার নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে দারুণ ক্রীড়ানৈপূণ্য প্রদর্শন করে দলটি ওয়েলসকে ২-০ গোলে হারিয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে খেলার কাজ অনেকটা সহজ করে ফেলে। প্রথম রাউন্ডে নিজেদের শেষ ম্যাচে আমেরিকাকে হারাতে পারলে বা অন্তত ড্র করতে পারলে ইরানের নক-আউট পর্ব নিশ্চিত হয়ে যায়।১৯৯৮ বিশ্বকাপে আমেরিকাকে হারানোর সুখকর রেকর্ড রয়েছে ইরানের। কিন্তু শুক্রবার ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আমেরিকা যে শক্তি প্রদর্শন করেছে তাতে দলটিকে হারানো কঠিন হয়ে যাবে ইরানের। কারণ, এই ইংল্যান্ডের কাছে বড় ব্যবধানে হেরেছিল ইরান।  

নিজেদের প্রথম ম্যাচে ওয়েলসের সঙ্গে এগিয়ে গিয়ে শেষ পর্যন্ত ড্র করেছিল আমেরিকা। এবার ফুটবল পরাশক্তি ইংল্যান্ডকেই আটকে দিল তারা।

ম্যাচের শুরুতেই একটি গোলের সুযোগ পেয়েছিলেন হ্যারি কেইন তবে তা কাজে লাগাতে পারেননি। আর সেটাই যেন ছিল ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ানোর আমেরিকার সংকেত। ইংল্যান্ডকে একেবারে কোণঠাসা করে রেখেছিল তারা। একের পর এক আক্রমণ করে গেছে আমেরিকা। তবে প্রথমে ডি-বক্সে বুকায়ো সাকার পাস ফাঁকায় পেয়ে শট নেন হ্যারি কেইন। আর সেই বল বিপদমুক্ত করেন ওয়াকার জিমারম্যান।

জুভেন্টাস মিডফিল্ডার ওয়েস্টন ম্যাককেনি দুর্দান্ত খেলেছেন আমেরিকার হয়ে। তবে ম্যাচের ২৫তম মিনিটে ডান দিক থেকে সতীর্থের বাড়ানো ক্রস বক্সে ফাঁকায় পেয়ে উড়িয়ে মারেন তিনি। এর মিনিট সাতেক পর ক্রিস্টিয়ান পুলিসিচের বুলেট শট ক্রসবারে লেগে ফিরে আসলে গোল বঞ্চিত হয় আমেরিকা।

প্রথমার্ধের শেষ দিকে এসে সহজ সুযোগ হাতছাড়া করেন বুকায়ো সাকা। কিন্তু ছয় গজ বক্সের মুখ থেকে শট নেওয়ার যথেষ্ট জায়গা না পেয়ে উড়িয়ে মারেন তিনি। পরের মিনিটে মেসন মাউন্টের জোরাল শট ঝাঁপিয়ে ফেরান আমেরিকার গোলরক্ষক ম্যাট টার্নার।

দ্বিতীয়ার্ধেও ইংলিশদের নিজেদের খেলাটা খেলতে দেয়নি আমেরিকা। গোটা ম্যাচে ইংল্যান্ডের চেয়ে গোলে শট বেশি ছিল আমেরিকারই। ইংল্যান্ডের ৮টি শটের জবাবে আমেরিকা নিয়েছে ১০টি শট। যদিও লক্ষ্যে ইংলিশদের ৩টির বদলে আমেরিকার ছিল মাত্র একটি।

শেষ পর্যন্ত দুই দলের কেউই তেমন আর গোলের সুযোগ তৈরি করতে পারেনি। এতেই ম্যাচ শেষ হয় গোলশূন্যতে।
খবর পার্সটুডে/এনবিএস/২০২২/একে

news