প্রত্যাশিত জয়ে বিশ্বকাপের শেষ আটে ইংল্যান্ড

 বিশ্বকাপ আবার নিজেদের ঘরে আনার জন্য ইংলিশরা স্লোগান বানিয়েছিল ২০১৮ সালে 'ইটস কামিং হোম'। ২০১৮ সালে সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নিতে হয়েছিল৷ এবারও দাপট দেখিয়ে চলছে ইংলিশরা। দ্বিতীয় রাউন্ডে সেনেগালকে ৩-০ গোলে হারিয়ে বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠলো তারা৷ ইংলিশদের হয়ে হ্যারি কেইন, সাকা ও হেন্ডারসন গোল তিনটি করেন।

২০০২ সালের বিশ্বকাপে প্রথম খেলতে এসেই তাক লাগিয়ে দিয়েছিল তারা কোয়ার্টার ফাইনাল খেলে৷ সেই সেনেগালের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো লড়াইয়ের শুরু থেকেই দারুণ চাপ সৃষ্টি করে খেলতে থাকে ইংল্যান্ড। তবে ম্যাচের প্রথম সুযোগটা পেয়েছিল সেনেগালই। ২৩ মিনিটে ইংলিশ ডি বক্সের ভেতর থেকে ইসমাইল সারের শট গোলবারের উপর দিয়ে চলে যায়।

২০০২ ও ২০০৬ বিশ্বকাপে টানা কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছিল ইংল্যান্ড। আবারো সেই ধারাবাহিকতা রক্ষার্থে সেনেগালের বিপক্ষে চাপ সৃষ্টি করতে থাকে সাউথগেটের দল। যার ফলও তারা পেয়ে যায় ৩৮ মিনিটে। তবে এর আগে ৩১ মিনিটে পিকফোর্ড ও ইসমাইল সার মুখোমুখি হলে, সারের শট রুখে দেন পিকফোর্ড।

তবে ৩৮ মিনিটে ঠিকই গোল পায় ইংলিশরা। দারুণ এক কাউন্টার এটাক থেকে বেলিংহ্যামের বাড়ানো বল থেকে গোল করে দলকে ১-০ ব্যবধানের লিড এনে দেন লিভারপুলের অধিনায়ক হেন্ডারসন। ৪৩ মিনিটে আবারো গোলের সুযোগ পেয়েছিল ইংল্যান্ড। কিন্তু লুক শর শট দারুণভাবে রুখে দেন সেনেগালের চেলসি গোলরক্ষক মেন্ডি।

চাপ সৃষ্টি অব্যাহত রেখে বিরতির আগে আবারো লিড পেয়ে যায় ইংল্যান্ড। ফিল ফোডেনের দারুণ ক্রসে এবার দলের হয়ে স্কোরশিটে নাম লেখান অধিনায়ক হ্যারি কেইন। ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় ইংল্যান্ড।

বিরতি থেকে ফিরে চলে ইংলিশদের হাই প্রেসিং ফুটবল। ৫৭ মিনিটে ২৫ গজ দূর থেকে হ্যারি কেইনের শট দারুণনভাবে তালুবন্দি করেন মেন্ডি। এর ঠিক ১ নিনিট পরেই গোল করেন আর্সেনাল তারকা সাকা। কাউন্টার এটাক থেকে বা পাশ থেকে ফোডেনের ক্রসে এভারের বিশ্বককাপে ৩য় গোলটি করেন সাকা।

গোল শোধে মরিয়া হয়ে খেলতে থাকলেও গোলের দেখা পাচ্ছিল না সেনেগাল। ৭৫ মিনিটে ফ্রি কিক পায় সেনেগাল। ২৫ গজ দূর থেকে ইসমাইল সারের শট রুখে দেন পিকফোর্ড। শেষের দিকে কিছু সুযোগ পেলেও গোল করতে ব্যর্থ হয় সেনেগাল। ফলে ৩-০ গোলের জয়ে কোয়ার্টারে উঠে যায় ইংল্যান্ড।

এনবিএস/ওডে/সি

news